ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির মুক্তির খবরে তাকে সামনে থেকে একবার দেখার আশায় অনেক দূর থেকে ছুটে এসেছিলেন ভক্ত-অনুরাগীরা। তাদের কেউ কেউ নায়িকাকে দেখতে পেয়ে আপ্লুত হয়েছেন। অনেকে আবার না দেখে হয়েছেন হতাশ।
গাজীপুরের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ সকাল ৮টায় কারাফটকের সামনে আসেন। পরীমনিকে সামনে থেকে দেখতে পেরে ভীষণ উচ্ছ্বসিত তিনি।
আব্দুর রশিদ বলেন, ‘সামনে থেকে পরীমনিকে দেখতে পেরে খুবই আনন্দ লাগছে।’
সিনেমার চেয়ে বাস্তবে পরীমনি অনেক বেশি সুন্দর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থেকে পরীমনিকে দেখতে এসেছিলেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয়। নায়িকাকে দেখতে না পারায় আক্ষেপ ঝরে তার কণ্ঠ থেকে।
তিনি বলেন, ‘ভোরে রওনা হয়েছি। সকাল ১০টায় কারাগারে এসে শুনি পরীমনি বের হয়ে চলে গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুনেছি অনেকেই তার সঙ্গে সেলফি তুলেছে। সামনাসামনি দেখেছে। এত দূর থেকে এসেও তাকে দেখতে না পারায় কষ্ট লাগছে।’
গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে পরীমনিকে দেখতে এসেছিলেন রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘পরীমনি অপূর্ব সুন্দরী। তাকে দেখার অনেক দিনের বাসনা ছিল। আজ তা পূর্ণ হলো।’
এর আগে বুধবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই গাড়ির মধ্যে থেকে উৎসুক জনতার সঙ্গে সেলফি তোলেন পরীমনি।
পরে আইনজীবী ও খালুর সঙ্গে কারাগার থেকে ঢাকার পথে রওনা হন তিনি।
পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে গত ৪ আগস্ট মাদকদ্রব্যসহ আটক করে র্যাবের একটি দল। পরের দিন বনানী থানায় এ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে বাহিনীটি।
সেই মামলায় মঙ্গলবার জামিন হয় পরীমনির। আদেশের কাগজ কারাগারে যেতে সময় লাগায় বুধবার সকালে কারামুক্ত হন আলোচিত এ অভিনেত্রী।