লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্তে গুলিতে নিহতদের মরদেহ ফেরতের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বুড়িমারী জিরো পয়েন্টের বাঁধের মাথায় রোববার ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি প্রাণ হারান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতের পরিবার ও স্বজনরা বুড়িমারী জিরো পয়েন্ট বিজিবি চেকপোস্টের পাশে অবস্থান করেন।
সড়ক অবরোধ করে এ সময় মরদেহ ফেরত চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। এতে পণ্যবাহী বহু ট্রাক আটকে থাকে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর সড়কে দুই শতাধিক ট্রাক আটকে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুই দফায় পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছিল। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।’
নিহত দুজন হলেন বুড়িমারীর ইউনুস আলী ও নীলফামারীর ডিমলার সাগর চন্দ্র রায়।
ওসি ওমর ফারুক জানান, মরদেহ দুটি বিএসএফ সদস্যরা ভারতের চেংড়াবান্ধা থানায় নিয়ে গেছেন।
নিহত ইউনুস আলীর বাবা বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলের মরদেহ পেতে আমি বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত ও বিজিবি কোম্পানি কমান্ডারের কাছে রোববার আবেদন দিতে যাই। কিন্তু তারা নেননি। পরের দিন সোমবার বিকেলে আবেদন নেন।’
সাগর রায়ের বাবা ধনবর রায় বলেন, ‘ছেলের মুখ দেখার অপেক্ষায় আছি। কেউ আমাদের কথা শোনে না। দুই দিন হলো লাশ পাব কি না জানি না।’
বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বলেন, ‘আমরা বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে কথা বলেছি। বিজিবি আমাদের এখন পর্যন্ত তেমন কিছু জানায়নি।’
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬১ (বিজিবি) বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার বেলাল হোসেন বলেন, গুলিতে দুইজন বাংলাদেশি নিহতের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশনা এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬১ (বিজিবি) রংপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।