টিকা নিতে নিবন্ধন করেই এক কোটির বেশি মানুষ টিকার অপেক্ষা করছে এমন বাস্তবতায়, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও স্তন্যদায়ী মায়েদের এসএমএস ছাড়াই করোনা প্রতিরোধের টিকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার অধিদপ্তরের ‘ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটি’র সদস্যসচিব শামসুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এই নির্দেশনা দেশের সব টিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, গর্ভবতীদের টিকা দেয়ার আগে গর্ভধারণের প্রমাণস্বরূপ এএনসি কার্ড বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি তাদের জন্য নির্ধারিত সম্মতিপত্রে সই করাতে হবে।
এই সম্মতিপত্রে সই করার বিষয়টিকে ‘অতীব জরুরি’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ডেপ্লয়মেন্ট কোর কমিটি‘র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা শুরু হলেও আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সন্তান সম্ভবা ও স্তন্যদায়ী মায়েদের তা দেয়া হতো না। ৮ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে এদেরকেও টিকার আওতায় আনার কথা জানানো হয়।
সেদিন জানানো হয়, অন্তঃসত্ত্বাদের টিকা নেয়ার লাভ-ক্ষতি সংক্রান্ত তথ্য অপ্রতুল। অন্য যেকোনো টিকার মতো এ টিকার ক্ষেত্রেও টিকা পরবর্তী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কিত কোনো তথ্য নেই। বিষয়টি টিকা নেয়ার আগে অন্তঃসত্ত্বাকে জানাতে হবে। তিনি সম্মতিপত্রে সই করার পর তাকে টিকা দিতে হবে।
তবে স্তন্যদানকারী নারীদের টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। অন্যদের যেভাবে টিকা দেয়া হয় তাদেরও সেভাবেই দিতে হবে।
তবে সব গর্ভবতীকে টিকা দেয়া যাবে না। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, টিকা নেয়ার দিন অন্তঃসত্ত্বা অসুস্থ থাকলে তাকে ডোজ দেয়া যাবে না। অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হলেও তিনি টিকা পাবেন না।
কোনো অন্তঃসত্ত্বার টিকা অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে বা প্রথম ডোজ নেয়ার পর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ বা এইএফআই কেস হিসেবে শনাক্ত হলে তাকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মঙ্গলবারের বিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধিত বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও ১৮ বছর ঊর্ধ্ব শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসএমএস দিয়ে দ্রুত টিকা দিতেও বলা হয়েছে।