ফেরি চলাচলের জন্য প্রস্তুত সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝি ফেরিঘাট দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালুর দাবিতে ঘাটে মানববন্ধন হয়েছে।
পদ্মা সেতু রক্ষা কমিটি নামে একটি স্থানীয় সংগঠন মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে মানববন্ধন করে।
ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে অংশ নেয়া সংগঠনটির বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক জামাল মাতবর বলেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে জাজিরা-শিমুলিয়া নৌরুট চালু হলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝি ঘাট চালু করতে হবে।’
সংগঠনের সদস্য বরকত মোল্লা জানান, প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল জাজিরা প্রান্তে অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে ফেরিঘাট করা হয়েছে। ২৬ আগস্ট পরীক্ষামূলক চলাচলের পর ২৭ আগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি চলাচলের কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবুও এখনও ফেরি চলাচল শুরু হলো না।
নারী নির্যাতন দমন চাঁদনী মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিনা মমতাজ বলেন, ‘মরদেহ পর্যন্ত এই অঞ্চলে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকায় দাফন-সৎকারের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।
‘মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া বা চাঁদপুর-শরীয়তপুর এই পথে যেতে হচ্ছে। অনেক সময় লাগে এই পথে যেতে। এতে অনেকেরই পথে মৃত্যু হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে চলতি সপ্তাহের মধ্যে সব অজুহাত বন্ধ করে ফেরি সেবা চালু করতে হবে।’
তীব্র স্রোতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ১৮ আগস্ট থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ পর্যন্ত তিনবার পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লেগেছে। শেষ বার ধাক্কার পর এই পথে বড় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে স্রোত বাড়লে সব ধরনের ফেরি বন্ধ করা হয়।
নৌ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝি ফেরিঘাট নির্মাণের কথা জানানো হয়।
গত ২৫ আগস্ট ঘাট প্রস্তুত করা হলেও কবে থেকে ফেরি চলবে তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি।