ঢাকার সাভারে কৃষকলীগের জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে খাবার নিয়ে হট্টগোল ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির অভিযোগ উঠেছে।
আশুলিয়ার বাইপাইল এলাহী কমিউনিটি সেন্টারে মঙ্গলবার বিকেলের এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
তবে হট্টগোলের বিষয়ে মুখ খোলেননি অনুষ্ঠানে থাকা কৃষকলীগের কোনো নেতা।
এর আগে গত ১৫ আগস্ট জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকীতেও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে খাবার নিয়ে হুড়োহুড়িতে আহত হন ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজন।
ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা গেছিই ৫-৭ জন। প্রোগ্রাম শ্যাষ, খাবার লইয়া গ্যাঞ্জাম লাগছে। আমগো পোলাপান ওই জায়গায় আছিল, পরে চইলা আসছে। পরে কারা কারা জানি মারামারি করছে। ওই সময় চেয়ার-মেয়ার ছুড়ছে। তবে কেউ আহত হয় নাই। ওইখানে মনে করেন যে, কেউ কাউরে চেনে না। এই হলো ঘটনা।’
অনুষ্ঠানে ছিলেন ঢাকা জেলা উত্তর কৃষক লীগের আহ্বায়ক মহসিন করিম। তাকে অনেকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাদাত হোসেন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।
তবে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনায় দুঃখ ও চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন লোকজন যাদের নিয়েছে বা দাওয়াত করেছে, তারা আওয়ামী লীগ সম্বন্ধে কিছু জানে না। বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে কিছু জানে না। বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়ে গেল। এই কথাটা যদি চিন্তা করত, তাহলে না খেয়ে সারাদিন বসে থাকত।’