করোনা পরিস্থিতির কারণে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে সুন্দরবন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সুন্দরবনের বিভিন্ন ট্যুরিস্ট পয়েন্ট ও সমুদ্র তীরবর্তী বনাঞ্চলে যেতে পারবেন।
প্রতিটি ট্যুরিস্ট লঞ্চ সর্বোচ্চ ৭৫ যাত্রী বহন করতে পারবে। একজন ট্যুর গাইড ২৫ জন পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনে নামতে পারবেন। ট্যুর অপারেটরা বন বিভাগের নির্দেশনা না মানলে কোনো ধরনের শুনানি ছাড়া আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির কারণে বন অধিদপ্তর ১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দিচ্ছে সুন্দরবন।
করোনায় স্বাস্থ্যবিধি ও সুন্দরবন ভ্রমণ নীতিমালা মেনে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন উন্মুক্ত করা হয়েছে। ট্যুর অপারেটরদের প্রতিটি লঞ্চ বা জাহাজে সর্বোচ্চ ৭৫ যাত্রী বহন করতে পারবে। কেউ ৭৫ জনের বেশি যাত্রী বহন করলে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শুনানি ছাড়াই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বন কর্মকর্তা বেলায়েত।
তিনি জানান, সুন্দরবনের করমজল, কটকা, কচিখালী, হরবাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, জামতলা, টাইগার পয়েন্ট, দুবলা ও নীলকমলসহ সমুদ্রপাড়ের বনাঞ্চল ভ্রমণ এবং নৌযানে অবস্থানের সময় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। প্রতিটি লঞ্চ বা জাহাজে তিনজন করে গাইড রাখতে হবে। একজন ট্যুর গাইড ২৫ জন করে পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনে নামতে পারবেন।
বন কর্মকর্তা বেলায়েত আরও জানান, দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ২০২০ সালের ২৬ মার্চ সুন্দরবন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে ওই বছর ১ নভেম্বর থেকে স্বল্প পরিসরে সুন্দরবন ভ্রমণের সুযোগ দেয় বন বিভাগ। তখন প্রতিটি ট্যুরিস্ট লঞ্চ বা জাহাজে সর্বোচ্চ ৫০ যাত্রী বহনের অনুমতি দেয়া হয়। সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাওয়ায় এ বছর ৩ এপ্রিল সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর আব্দুল্লাহ বনি জানান, ‘করোনাকালে আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। বুধবার থেকে সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন চালু হওয়ায় এ খাতে জড়িতরা নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে। বন বিভাগের সব ধরনের নীতিমালাসহ করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ট্যুর অপারেট করা হবে।’