ভ্যাট ফাঁকি ধরার পর ৫২ লাখ টাকা পরিশোধ করল ই কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিশা মার্ট।
ভ্যাট গোয়েন্দা ও নীরিক্ষা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান নিউজবাংলাকে জানান, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যবসা করে আসছে-এই অভিযোগের গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির বনানী কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি পণ্য বিক্রির ওপর প্রযোজ্য হারে ভ্যাট যথাযথভাবে জমা দেয়নি। প্রতিষ্ঠানটি তল্লাশি করে ভ্যাট সংশ্লিষ্ট দলিল ও হিসাব বিবরণী জব্দ করা হয়।
তদন্তে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে ১৮১ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। এক্ষেত্রে কমিশন বাবদ আয় হয় ৬ কোটি ৪৮ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭১ টাকা।
নিয়ম অনুযায়ী, কমিশনের উপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য। সে হিসাবে প্রযোজ্য ভ্যাট আসে ৩২ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৪ টাকা।
তদন্তে আরও দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি উৎসে ভ্যাট ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪৩৬ টাকা জমা দেয়নি।
অর্থ্যাৎ ৫ মাসে কমিশনের উপর প্রযোজ্য ভ্যাট বাবদ ৫২ লাখ ২৯ হাজার ১৬০ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট গোয়েন্দা দপ্তরে শুনানিতে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ মেনে নিয়ে স্বেচ্ছায় সরকারি কোষাগারে টাকা জমা করেছে।’
তিনি জানান, আলিশা মার্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মামলার প্রতিবেদন ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম আরও তদারকি করা ও আর্থিক অনিয়ম আছে কি-না তা খতিয়ে দেখতেও অনুরোধ করা হয়েছে।