মাদক মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী পরীমনি আদালতে জামিন পেয়েছেন বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায়। অসুস্থ নারীর পাশাপাশি অভিনেত্রী হিসেবে তার অবস্থান তার জামিনে গুরুত্ব পেয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ এ কে এম ইমরুল কায়েশ মঙ্গলবার তার জামিন দেন।
অভিনেত্রী পরীমনির জামিন আদেশে বেশকিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি একজন নারী, অসুস্থ, অভিনেত্রী, বর্তমানে তিনি দশটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ, কারাগারে থাকায় এসব সিনেমার শুটিং বন্ধ রয়েছে- এসব বিষয় বিবেচনায় জামিন পেয়েছেন পরীমনি।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন আদেশে এসব কারণের কথা উল্লেখ করেন।
জামিন শুনানিতে পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, ‘আসামিকে তিন দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়েছে, কিন্তু অভিযোগ তদন্তে অগ্রগতি নেই। আসামি একজন অসুস্থ নারী। তিনি একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী। বিভিন্ন পরিচালকের সঙ্গে সিনেমার চুক্তি আছে৷ যার মধ্যে সরকারি অর্থায়নে নির্মিতব্য প্রীতিলতা সিনেমাও রয়েছে। কারাগারে থাকায় তিনি সেসব চুক্তি পূরণ করতে পারছেন না। তাই সার্বিক বিবেচনায় জামিন চাইছি।
‘দশটি সিনেমায় তিনি চুক্তিবদ্ধ, যার শুটিং বন্ধ, বিশেষ করে একটি সিনেমা যা প্রীতিলতার ওপর নির্মিত।
‘এ ছাড়াও তার চিকিৎসা প্রয়োজন, তিনি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন।’
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন।
শুনানি শেষে বিচারক ৫০ হাজার টাকা বন্ডে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত সময়ের জন্য তাকে জামিনে মুক্তি দেয়ার আদেশ দেন।
আলোচিত এই অভিনেত্রী ৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিন দফা রিমান্ড শেষে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।