বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মা-ছেলে ‘অপহরণ’: সিআইডির ৩ সদস্যের জামিন নাকচ

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২১ ১৬:১৯

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকালে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হকের জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।

দিনাজপুরে স্ত্রী ও ছেলেকে ‘অপহরণের’ ঘটনায় সিআইডির তিন সদস্যের জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত।

জেলা মুখ্য মহানগর হাকিম আমলি আদালত-৪-এর বিচারক শিশির কুমার বসু মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করেন।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হকের জামিন আবেদন করেন।

তাদের জামিনের বিরোধিতা করেন আদালত পুলিশের এসআই সবুজ আলী। আদালত তাদের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, এর আগেও তাদের জামিন আবেদন করা হয়েছিল। তখনও আদালত তাদের আবেদন গ্রহণ করেনি।

যা ঘটেছিল

অপহরণের মামলার বাদী হলেন লুৎফরের ভাই খলিলুর রহমান।

২৪ আগস্ট মামলার পর নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় তার ভাই লুৎফর স্থানীয় বাজারে যান। সে সময় বাড়িতে ছিলেন লুৎফরের স্ত্রী, ছেলে ও ছেলের বউ।

বাদীর অভিযোগ, সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি দল রাত সাড়ে ৯টায় ওই বাড়িতে যায়। তারা লুৎফরকে আটক করতে এসেছে বলে জানায়। লুৎফরকে না পেয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকারও তারা লুট করে। এরপর লুৎফরের স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে মো. জাহাঙ্গীরকে মারধর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়।

লুৎফরের ভাগনে শামসুল আলম মানিক নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনার পর থেকে লুৎফরকেও কোথাও পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে তাদের মোবাইল নম্বরে দফায় দফায় ফোন করে বলা হয়, জহুরা ও জাহাঙ্গীরকে মুক্তির বিনিময়ে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে।

বিষয়টি চিরিরবন্দর থানায় জানান মানিক ও খলিলুর। এরপর থানা পুলিশের সঙ্গে পরামর্শ করে মুক্তিপণের টাকা নিতে অপহরণকারীদের ২৪ আগস্ট বিকেলে দিনাজপুর সদর উপজেলার বাঁশেরহাটে আসতে বলা হয়।

অপহরণকারীরা সেদিন বাঁশেরহাট এলে চিরিরবন্দর থানার পুলিশ তাদের আটক করে। উদ্ধার করা হয় জহুরা ও তার ছেলে জাহাঙ্গীরকেও।

রংপুর সিআইডির ভারপ্রাপ্ত এসপি আতাউর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিআইডির এই সদস্যরা ২১ আগস্ট থেকে ১০ দিনের ছুটিতে ছিলেন। এ সময়ে তাদের কোনো অভিযোগ তদন্তে দিনাজপুর যাওয়ার কথা না। অনুমতি ছাড়া ভাড়া করা একটি গাড়ি নিয়ে সেখানে তারা গিয়েছিলেন। কেন তারা এ কাজ করেছেন তা আমি জানি না। আটক হওয়ার পর আমাকে জানানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর