বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নে হাজার কোটি টাকা চায় বিসিক

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২১ ১৬:১৫

১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল বরাদ্দ করা হলে বিসিক নিজ ব্যবস্থাপনায় ঋণ বিতরণ ও চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে কাজ করবে।

ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতি ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন- বিসিক।

এই টাকার মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা প্রান্তিক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য। বাকি ৫০০ কোটি টাকা যারা নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে চান তাদের জন্য চাওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে এই অর্থ বরাদ্দ চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিসিক) মোস্তাক আহমেদ বাংলাদেশের ব্যাংকের গভর্নর বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্র শিল্প মোট দেশজ উৎপাদনে- জিডিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অধিক কর্মসংস্থান ও টেকসই উন্নয়নের জন্য এই শিল্পের বিকাশ ধরে রাখতে হবে।

এ জন্য ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল বরাদ্দ করা হলে বিসিক নিজ ব্যবস্থাপনায় ঋণ বিতরণ ও চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে কাজ করবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, নতুন প্রশিক্ষিত উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে দেশে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে আরও বেগবান করতে পারবে।

বিসিকের চিঠিতে বলা হয়, ওই তহবিল বরাদ্দ করা হলে বিসিক চুক্তিনামা সম্পাদন ও যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল ফেরত প্রদানে প্রয়োজন হলে করপোরেট গ্যারান্টি প্রদান করবে।

বিসিকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তারা একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যারা ৬৪ জেলায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়। সংস্থার পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার সক্ষমতা আছে। নতুন করে আরও ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পেলে ঋণ দেয়ার সক্ষমতা বাড়বে, যা নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

করোনা মহামারিতে অর্থনীতি-জীবন-জীবিকার স্বার্থে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার দেড় হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা বরাদ্দ দেয়।

এর মধ্যে বিসিকের অধীনে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি গত অর্থবছরে বরাদ্দের ৫০ কোটি টাকায় ছাড় পেয়েছে। ছাড়ের অর্থের পুরো টাকাই বিতরণ করা হয়েছে।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়ীদের চার শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছে সরকার। তবে, এ ঋণের সুদ হার ছিল ৯ শতাংশ। বাকি সুদের টাকা জনগণের করের টাকায় ভর্তুকি দেয় সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর