মাদক মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী পরীমনিকে জামিন দিয়েছে আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ এ কে এম ইমরুল কায়েশ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আলোচিত এই অভিনেত্রী ৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিন দফা রিমান্ড শেষে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
পরীমনির পক্ষে আদালতে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান। তাকে সহায়তা করেন নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী।
শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, পরীমনিকে পরপর তিনবার রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তিনি কারাগারে থেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। স্বনামধন্য এই চিত্রনায়িকার ১০টি সিনেমার শুটিং আটকে আছে। মানবিক বিবেচনায় পরীমনিকে জামিনে মুক্তি দেয়ার অনুরোধ জানান আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন মহানগর আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
শুনানিতে তারা বলেন, পরীমনির বাসা থেকে ভয়ংকর মাদক এলএসডি ও চার গ্রাম আইস উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি মাদকের আসর বসাতেন, নিজে মাদক গ্রহণ করতেন। এ জন্য তাকে জামিন দেয়া বিপজ্জনক।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার আগ পর্যন্ত পরীমনিকে মুক্তির আদেশ দেন।
জামিন আদেশে পরীমনিকে ৫০ হাজার টাকার মুচলেকা করা হয়েছে বলেও নিউজবাংলাকে জানান অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল। তিনি বলেন, শর্তের বিষয়টি ওপেন কোর্টে বলা না হলেও পরে আদেশে তা যুক্ত করে আদেশ দেয়া হয়।
এর আগে ২২ আগস্ট পরীমনির আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর তারিখ দেয়। পরে পরীমনির আইনজীবীরা হাইকোর্টে গেলে দ্রুত জামিন আবেদন নিষ্পত্তির আদেশ দেয় আদালত। এরপর বিচারিক আদালতের বিচারক ৩১ আগস্ট নতুন তারিখ রাখেন।
গত ৪ আগস্ট রাতে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দের দাবি করে বাহিনীটি।
পরের দিন পরীমনিকে আটকের কারণ জানানোর পাশাপাশি বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে র্যাব। ওই দিনই এই অভিনেত্রীকে আদালতে তোলা হলে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। পরে আরও দুই দফায় মোট তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।