বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘যুদ্ধাপরাধীর স্বজনরা ষড়যন্ত্রে, জাতি সাবধান’

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২১ ১৪:২৭

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখনও যুদ্ধাপরাধী, পরাজিত শক্তি এবং ১৫ আগস্টের খুনি, ফাঁসি যাদের হয়েছে তারা তো বটেই, তাদের ছেলেপেলে এবং যুদ্ধাপরাধী যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের ছেলেপেলে বা দোসর যারা এবং তাদের বংশধর কিন্তু এখনও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে, ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’

যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধরেরা এখনও বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

রাজধানীর কৃষিবিদ মিলনায়তনে মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখনও যুদ্ধাপরাধী, পরাজিত শক্তি এবং ১৫ আগস্টের খুনি, ফাঁসি যাদের হয়েছে তারা তো বটেই, তাদের ছেলেপেলে এবং যুদ্ধাপরাধী যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের ছেলেপেলে বা দোসর যারা এবং তাদের বংশধর কিন্তু এখনও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে, ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের সহযোগিতা করছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে সকল আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেছিল, তাদের কিছু কিছু এদের মদদ দিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে।’

তবে এসব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে লক্ষ্যে অবিচল থাকার কথা জানালেন আওয়ামী লীগ প্রধান। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বাধা-বিঘ্ন আসতে থাকবে, কিন্তু সৎ পথে থাকলে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আদর্শ নিয়ে যদি চলা যায় যেকোনো কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে সাফল্য অর্জন কিন্তু অবশ্যম্ভাবী। এটা হবেই। সত্যের পথ সব সময় কঠিন হয়, সেই কঠিন পথকে ভালোবেসে গ্রহণ করে যারা এগিয়ে যেতে পারে তারাই সাফল্য আনতে পারে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পায়ে পায়ে শত্রু আছে। পদে পদে বাধা আছে। আমাদের চলার পথ মসৃণ না, কণ্টকাকীর্ণ। আমাদের চড়াই-উতরাই পার হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ১২ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ আজ উঠে দাঁড়িয়েছে।’

শত বাধা সয়েও নিজের দেশে ফেরার কারণ সম্পর্কেও জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা। বলেন, ‘শুধু একটা লক্ষ্য সামনে নিয়ে, সেটা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সফল করতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্ন ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে। এই একটি সিদ্ধান্ত নিয়েই কিন্তু আমি ফিরে এসেছিলাম।’

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে আগামীর বাংলাদেশের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাহসিকা বঙ্গমাতা

জাতির পিতার আন্দোলন-সংগ্রামে তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অসামান্য অবদানের কথাও স্মরণ করেন তাদের কন্যা শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় যখন আর্থিক সংকট দেখা গেছে, তখন তিনি নিজের হাতের চুরি বিক্রি করে, গহনা বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে দিয়েছেন। আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলেছেন। একদিকে আমার বাবার ওপর যখন একটার পর একটা মামলা, সেই মামলাগুলোর আইনজীবী ঠিক করা, সেই মামলাগুলো পরিচালনা করা, অপরদিকে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলা। এই কাজগুলো অত্যন্ত সুচারুভাবে তিনি করেছেন।

‘সব সময় গোয়েন্দা সংস্থার একটা নজরদারি আমাদের ওপর ছিল, কিন্তু আমার মা এত সূক্ষ্মভাবে কাজগুলো করতেন, গোয়েন্দারা কখনও টের পায়নি।’

পরিবার সংসারের কাজে বঙ্গমাতা কখনও বঙ্গবন্ধুকে বিরক্ত করতেন না, বরং তার নেয়া যেকোনো সিদ্ধান্তে পাশে থাকতেন বলে জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন সংকটময় মুহূর্তে আমার মায়ের কিছু সিদ্ধান্ত বা পরামর্শ, সেগুলো আমি মনে করি যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। সংসারের ব্যাপারে বা আমাদের ব্যাপারে তিনি কখনও আমার বাবাকে ব্যতিব্যস্ত করতেন না।’

১৫ আগস্টের কালরাতের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমার বাবাকে হত্যা করল, আমার মা কিন্তু ঘাতকদের কাছে তার জীবন ভিক্ষা চাননি। সেখানেও তিনি সাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি সোজা বলেছেন যে, তোমরা যেহেতু উনাকে হত্যা করেছ, আমাকেও হত্যা করতে পার। আমি এখান থেকে এক পা নড়ব না।’

এ বিভাগের আরো খবর