বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলার রায়ের অপেক্ষা, কঠোর নিরাপত্তা

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২১ ১১:২৭

রায় উপলক্ষে চার আসামিকে এরই মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর বিচারিক (সিএমএম) আদালতের গারদ খানায় নিয়ে আসা হয়েছে।সেখানে অবস্থান করছে পুলিশের শতাধিক সদস্য।

রাজধানীর কলাবাগানে সমকামীদের অধিকারকর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে আদালত চত্বরে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান মঙ্গলবার দুপুরে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

রায় উপলক্ষে চার আসামিকে এরই মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর বিচারিক (সিএমএম) আদালতের গারদ খানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আসামিরা হলেন মোজাম্মেল হোসাইন সাইমন, মোহাম্মদ আরাফাত রহমান সিয়াম, মো. শেখ আব্দুল্লা জুবায়ের ও আসাদুল্লাহ ফয়জুল। সেখানে অবস্থান করছে পুলিশের শতাধিক সদস্য।

গত ২৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটির রায়ের জন্য দিন রাখে আদালত।

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রকৃত অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছেন জুলহাসের ভাই মামলার বাদী মিনহাজ মান্নান ইমন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। কাজেই আশা করছি, বিচারক আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেবে।’

আর আসামিপক্ষের আইনজীবী খায়রুল ইসলাম লিটন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তারা খালাস পাবেন বলে আশা করছি।’

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে প্রবেশ করে ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

নিহত জুলহাজ বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। তনয় নাট্য সংগঠন লোক নাট্যদলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারে জড়িত ছিলেন।

ওই ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাসের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন হত্যা মামলা এবং সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করেন।

হত্যা মামলাটির আসামি করা হয় আটজনকে। ২০১৯ সালের ১২ মে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম।

গত বছরের ১৯ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়।

মামলার আসামিরা হলেন সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত মেজর), আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী, জুনাইদ আহমদ ওরফে মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম চারজন পলাতক রয়েছেন। অপর চারজন কারাগারে আছেন।

এ বিভাগের আরো খবর