চীনের সিনোফার্মের বিবিআইবিপি-করভি টিকার আরও ৫৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫০ ডোজ দেশে পৌঁছেছে। চুক্তির পর দেশে আসা এটাই চীনের সবচেয়ে বড় টিকার চালান।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার রাত ২টা ১০ মিনিটে টিকা বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট পৌঁছায়।
টিকার চালান গ্রহণ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক।
তিনি বলেন, ‘আমরা টিকা গ্রহণ করেছি। এয়ারপোর্ট থেকে ফ্রিজার ভ্যানে করে বেক্সিমকোর গাজীপুরের ওয়্যার হাউসে রাখা হবে। এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা আছে। ওখান থেকে বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনায় জেলা-উপজেলায় বণ্টন করা হবে।’
সোমবার দুপুরে চীনের টিকা আসছে না বলে জানালেও সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম জানান টিকা আসবে রাতে।
আগামীকাল বুধবার বিকেল ৫টায় গ্যাভির কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে ফাইজারের আরও ১০ লাখ ৬ হাজার টিকা দেশে আসবে বলেও জানান তিনি।
কেনার পাশাপাশি চীন থেকে উপহার ও কোভ্যাক্সের মাধ্যমেও ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ৬০০ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ।
নতুন করে ২০ লাখ আসায় বিভিন্ন মাধ্যমে এখন পর্যন্ত টিকা পাওয়ার পরিমাণ ৩ কোটি ৮০ লাখ ৩১ হাজার ৬০৭ ডোজ।
দেশে গণটিকা শুরু হয় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনা হয় সে টিকা। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ কেনার চুক্তি করে সরকার। তবে ৭০ লাখ টিকা দিয়ে সংকটের কারণ দেখিয়ে আর টিকা দেয়নি ভারত।
এ ছাড়া কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মডার্নার ৫৫ লাখ, ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ এবং জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০ লাখ ৫৯ হাজার ৩৮৭ ডোজ টিকা এসেছে দেশে।