নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁপানিয়া থেকে বর্ষাইল বাজার পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কের পিচ উঠে অসংখ্য স্থানে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। বৃষ্টি হলে এ গর্তে পানি জমে ছোট ছোট ডোবার মতো সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া অপ্রশস্ত হওয়ায় পাশাপাশি দুটি বড় গাড়িও চলতে পারে না।
দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না করায় যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে এ এলাকার বাসিন্দারা। দ্রুত সড়কটি সংস্কার ও প্রশস্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
নওগাঁ সদর উপজেলা থেকে মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজি হাট পর্যন্ত সড়কটির হাঁপানিয়া বাজার থেকে বর্ষাইল বাজার পর্যন্ত দূরত্ব সাড়ে সাত কিলোমিটার। এ অংশটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পিচ উঠে অসংখ্য খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বেরিয়ে গেছে ইটের খোয়া। গর্তে বৃষ্টির পানি জমে ছোট ছোট ডোবায় পরিণত হয়। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে অসংখ্য ট্রাক, ট্রাক্টর, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ অন্য যানবাহন চলাচল করে। দুই উপজেলায় যাতায়াতে সহজ পথটির এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।
চকআতিতা গ্রামের রুবেল হোসেন জানান, সড়কটি দীর্ঘ দিন সংস্কার করা হয়নি। আবার রাস্তাটি সরু হওয়ায় একটি ট্রাক গেলে আরেকটি যেতে পারে না। এই সড়ক দিয়ে মালবাহী ট্রাক ও ট্রাক্টর চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। উল্টে সড়কের নিচে পড়া আশঙ্কা রয়েছে।
কেশবপুর (ডাঙাপাড়া) গ্রামের সাবেদ হোসেন বলেন, অপরিকল্পিতভাবে রাস্তার পাশে স্থাপনা গড়ে ওঠায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নাই। পিচ ওঠে রাস্তার মাঝে যেন ছোট ছোট ডোবার সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চাকা নেমে উল্টেও গেছে অনেকবার।
বর্ষাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামছুজ্জোহা জানান, রাস্তাটি বেহাল হওয়ার প্রধান কারণ দুপাশে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা চালকল। এগুলোর কারণে বৃষ্টির পানি নামতে না পেরে রাস্তায় জমে থাকে। এতে দ্রুতই পিচ নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, সড়কটি মারমা ও ঝাড়গ্রামসহ কয়েকটি গ্রাম, র্কীত্তিপুর ইউনিয়ন এবং মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজি হাট যাওয়ার সহজ পথ। প্রতিদিন প্রায় ২৫০-৩০০ যান এ সড়কে চলাচল করে। রাস্তাটির গুরুত্ব বেড়ে যাওয়া মানুষের সুবিধা হয়েছে। তবে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
নওগাঁ সদর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী ইমতিয়াজ জাহিরুল হক জানান, সড়কটি মেরামতের জন্য প্রায় ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার টেন্ডার হয়ে গেছে। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে আশা করছেন।