ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লইস্কা বিলে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবিতে ২৩ প্রাণহানির পর তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন।
নৌ নিরাপত্তা বাড়াতে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন ঘাটে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এ সময় ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নেয়া, ট্রলারের নিবন্ধন ও ফিটনেস না থাকা এবং চালকের অদক্ষতার জন্য ১০ জনকে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে আনন্দবাজার ঘাটে বেশি যাত্রী নেয়ার চারটি নৌকার মালিককে দুই হাজার টাকা এবং বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের টান মনিপুর ও মনিপুর নৌকাঘাটে নৌ আইন অমান্য করায় ছয়টি নৌকার মালিককে ৭৮০ টাকা জরিমানা করা হয়।
নৌ নিরাপত্তায় অভিযান শুরু করলেও জেলায় নৌঘাট এবং চলাচলকারী নৌকা ও ট্রলারের সংখ্যা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
তারা জানান, জেলায় মেঘনা, তিতাস, লোয়া, বিজনা, বুড়ি, ভাসাডিয়া, বেমালিয়া, লৌহর, লংগন বলভদ্রা, সালদা, হাওড়, সোনাই ঘুঘুর এই ১২টি প্রধান নদী রয়েছে। যার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে অসংখ্য খাল। এই নদীগুলোকে ঘিরে জেলায় রয়েছে ৫০০ কিলোমিটার নদীপথ।
বিআইডব্লিউটিএর আওতাভুক্ত এই রুটগুলোতে কী পরিমাণ যাত্রীবাহী নৌকা, বালুবাহী ট্রলারসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল করে তার সংখ্যা জানে না কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিএর তথ্য অনুযায়ী, শহরের গোকর্ণ নৌঘাট ছাড়া সব ঘাটই অবৈধ।
বিআইডব্লিইউটিএর উপপরিচালক মো. শহিদউল্লাহ বলেন, ‘নদী পথে কতটি নৌযান চলাচল করে তার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। যতগুলো ঘাট রয়েছে তার মধ্যে শহরের গোকর্ণ নৌঘাটেরই বৈধতা রয়েছে। তবে জেলায় যতগুলো ঘাট রয়েছে সেগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তিনি জানান, তাদের মূল লক্ষ্য নৌকা ও ট্রলারে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী উঠানো বন্ধ করা। কোনো নৌকায় ২৫ জনের বেশি যাত্রী বহন করলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া নৌকার ফিটনেস, চালকের দক্ষতাসহ সব বিষয়েই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
প্রথম দিনে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল বাকি, বিজয়নগর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আফসার সায়মা, নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুমন শামস ও জেলা শাখার সভাপতি শামীম আহমেদ।