ধীরে ধীরে কমে আসছে করোনা সংক্রমণ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে করোনায় মৃত্যু কমেছে প্রায় ৩৪ শতাংশ।
আর নতুন রোগী শনাক্ত কমেছে প্রায় ২৭ শতাংশ। এ সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হারও কমেছে। এক সপ্তাহ ব্যবধানে করোনা শনাক্তের হার কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ৩০ হাজার ৮৫৫টি। করোনা শনাক্ত হার ১২ দশমিক ০৭। এর চেয়ে কম শনাক্ত হার ছিল গত ৭ জুন, ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ। যা প্রায় তিন মাসের সবচেয়ে কম।
আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। দেশে টানা চার সপ্তাহ ধরে মৃত্যু ও শনাক্ত কমছে। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে নতুন রোগী বাড়ছিল।
সোমবার চলতি বছরের সংক্রমণের ৩৪তম সপ্তাহ (২৩–২৯ আগস্ট) শেষ হয়। এই সপ্তাহে মোট ৭৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হিসেবে এই সপ্তাহে মৃত্যু কমে এসেছে ৩৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ সময়ের মধ্যে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩১ হাজার ৫৩৯ জনের দেহে।
গত এক সপ্তাহে মোট ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এক সপ্তাহে মোট পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার কমে ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত মার্চ থেকে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার মাস পাঁচেক পর সম্প্রতি পরিস্থিতির উন্নতির চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে কমছে শনাক্তের হার।
গত এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ ছাড়িয়ে এক পর্যায়ে ৩০ শতাংশও ছাড়িয়ে যায়। এই অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ।
গত ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও এরপর থেকে রোগী ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে। শাটডাউন চলাকালে নিয়মিতভাবে ২৪ ঘণ্টায় আড়াইশর বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছে। এ ছাড়া করোনা উপসর্গে মারা গেছে আরও বহুজন।
ওই সময়ে প্রথমে রাজশাহী বিভাগ ও পরে খুলনা বিভাগে মৃত্যু ছিল সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালগুলোতে রোগীর জায়গা দেয়া যাচ্ছিল না, দেখা দেয় অক্সিজেন সংকট।
বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রথমে ঢাকায় খুব বেশি না ছড়ালেও জুনের শেষ দিকে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে ছড়াতে থাকে। হাসপাতালে তৈরি হয় ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই’অবস্থা। বিশেষ করে আইসিইউ সংকটে রোগীদের স্বজনরা পড়েন দুর্ভোগে। তবে এখন করোনা রোগীর জন্য বরাদ্দ করা হাসপাতালের শয্যার বেশির ভাগই ফাঁকা পড়ে আছে। আইসিউই ইউনিটগুলোও এখন চাইলেই শয্যা পাওয়া যাচ্ছে।