বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু হত্যায় আ. লীগের চেয়ে বেশি কেঁদেছি: জাফরুল্লাহ

  •    
  • ৩০ আগস্ট, ২০২১ ২০:১০

‘এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, তার পিতার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের লোকজন কাঁদে নাই, যতটা না আমরা কেঁদেছি।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি কাঁদার কথা জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, তার পিতার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের লোকজন কাঁদে নাই, যতটা না আমরা কেঁদেছি।’

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ‘মায়ের ডাক’ নামে একটি সংগঠনের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গড়তেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান জাফরুল্লাহ। বলেন, ‘ওনার (প্রধানমন্ত্রী) উচিত পদ ছেড়ে দিয়ে ওনার বোন রেহানাকে এনে আরও লোকজন দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা।’

যারা গুম হয়েছেন তারা কোথায় আছেন কীভাবে আছেন তার প্রত্যেকটি তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে বলেও দাবি করেন জাফরুল্লাহ। বলেন, ‘তিনি সব জানেন। কেন বলছি এ কথা, তাকে এসব তথ্য সরবরাহ করে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী ‘র’, বাংলাদেশের র‌্যাব আর এনএসআই।

‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে ৮টা না হোক ৩-৪টা ফাইল পড়েন। প্রত্যেকটা তথ্য তিনি জানেন। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে খোদার কাছে মাফ চান। মাফ পাবেন না যদি না যাদেরকে গুম করেছেন তারা মাফ করেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুম হওয়া পরিবারের কষ্ট বোঝেন কি না, তা জানতে চেয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। বলেন, ‘যদি কষ্ট বোঝেন, তবে একটা মানুষ ৮-১০ বছর ধরে তার প্রিয়জনের খোঁজ পাবে না কেন? যেই সরকার এখন ক্ষমতায়, তারা হৃদয়হীন।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলেন, ‘স্বজন হারানোর বেদনা আপনি বোঝেন। তাই দ্রুত গুম হওয়া ব্যক্তিদের তাদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করুন।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এই অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। এই বাংলার মাটিতে গুমের বিচার হবেই।’

তিনি বলেন, ‘গুম হওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে এ দেশের পুলিশ বাহিনী কী করে, র‌্যাব কী করে? তারা কিছুই করতে পারে না। কারণ, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় এর সঙ্গে জড়িত। তারা কিছুই করতে পারে না। কারণ, এটা প্রাইভেট বাহিনী না, এটি রাষ্ট্রীয় বাহিনী।

‘পুলিশ, র‌্যাব এক-একজনকে তুলে নিয়ে গেছে। রক্ষক এখন ভক্ষক হয়ে গেছে। এদের প্রতিরোধ করতে হবে। সবাই ঐক্য গড়ে তুলুন। গণ-আন্দোলনে এ সরকারের পতন হবেই।’

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত বিচার না পাওয়া যাবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর