বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ লেখায় গ্রেপ্তার গাজীর মুক্তি চান রিজভী

  •    
  • ৩০ আগস্ট, ২০২১ ১৬:০১

‘সত্য কথা বললে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে চলে যায়। রুহুল আমিন গাজী, কবি আল মাহমুদ- এরা সব সময় সত্য কথা দেশের পক্ষে বলেছেন। সত্য কথা, দেশের পক্ষে বললে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে যায়। সে জন্য এসব বরেণ্য ব্যক্তিদের এ সরকার স্বীকৃতি দেয়নি।’

মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ ও ‘মুক্তিযোদ্ধা’ লেখার প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় কারাগারে আটক জামায়াতের মুখপাত্র দৈনিক সংগ্রাম-এর সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর মুক্তি চেয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের একাংশের ডাকে এক সমাবেশে এই দাবি করেন তিনি। গাজী এই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। তার মুক্তির দাবিতেই সমবেত হন অন্যরা। এতে যোগ দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবও।

২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের বার্ষিকীতে সংগ্রাম পত্রিকায় এই মানবতাবিরোধী অপরাধীকে ‘শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার ষষ্ঠ শাহাদৎবার্ষিকী আজ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়। পোড়ানো হয় সংগ্রাম পত্রিকার কপি। প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে রাতেই হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

আর ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আফজাল ওই থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।

মামলায় দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজী ও বার্তা সম্পাদক সাদাত হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় আবুল আসাদ ও রুহুল আমিন গাজী কারাগারে রয়েছেন।

রুহুল আমিন গাজীকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে রিজভী বলেন, ‘তার ওপর নিপীড়ন কেন? কারণ একটাই, তিনি সত্য কথা বলেন, লেখনী ক্ষুরধার, আর লেখনী ক্ষুরধার হলে এই সরকারের সমালোচনা আসবে।

‘একজন বিবেকবান মানুষ যদি সাংবাদিক হয়, তাহলে তিনি লিখবেন না? অবশ্যই লিখবেন। আর এই অপরাধে তিনি আজ কারাগারে। আর যারা দুর্নীতি করছেন, সন্ত্রাস করছেন, তারা দিব্যি ঘুরে বেড়ান, এমপি-মন্ত্রী হন।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘সত্য কথা বললে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে চলে যায়। রুহুল আমিন গাজী, কবি আল মাহমুদ- এরা সব সময় দেশের পক্ষে সত্য কথা বলেছেন। দেশের পক্ষে কথা বললে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে যায়। বরেণ্য ব্যক্তিদের এ সরকার স্বীকৃতি দেয়নি।… যারা টিক্কা খানের চাকরি করেছেন, কিন্তু জয় বাংলা স্লোগান দেন, তারা আওয়ামী লীগের কাছে, তাদের নেত্রীর কাছে প্রিয় হন।’

সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশে যে অত্যাচার চলছে, তা থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, পেশাজীবী সংগঠনসহ সকলকে সংগ্রাম করতে হবে। এই অত্যাচার বন্ধ করতে না পারলে রুহুল আমিন গাজীর মতো বরেণ্য ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চলতে থাকবে।’

গুমের সংস্কৃতি চালু করেছে সরকার

রিজভী বলেন, ‘আজ আন্তর্জাতিক গুম দিবস। এই দেশে অনেকেই গুম হচ্ছে, হয়েছে। আর এসব গুমের মূল হোতা এই সরকার।

‘গুমের মতো একটি বিষয় আজ আমাদের জনগণের মুখে মুখে। কারণ, এটিকে জনসংস্কৃতির অবিচ্ছিন্ন অংশ হিসেবে পরিণত করেছে এই সরকার। প্রতিদিন প্রতিটি ঘরে প্রতিটি মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে, কখন তার সন্তানকে তুলে নেয়া হয়।’

ঐতিহাসিক সত্যের প্রমাণ লাগে না

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন কি না, এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলায় প্রতিক্রিয়া জানান রিজভী।

তিনি বলেন, ‘আপনি বলেছেন জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কি না, সেটি প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। ঐতিহাসিক সত্যের প্রমাণ লাগে না।

‘আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কি না, আপনার পরিবার মুক্তিযুদ্ধ করেছে কি না, সেটা এখন প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। সত্যিকার অর্থে আপনারা মুক্তিযুদ্ধ চেয়েছিলেন কি না? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন কি না, বৃহত্তর পাকিস্তানের ক্ষমতা চেয়েছিলেন, এটা এখন গবেষণার প্রধান টপিক।’

যারা সত্যিকারের রণাঙ্গনের যোদ্ধা, বর্তমানে তাদেরকে অপমান করা হচ্ছে এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, 'আপনার (শেখ হাসিনা) স্বামীর বইটি কি আপনার কাছে নেই? সে বইতে লিখেছেন, ‘'আমি আর শেখ হাসিনা মালিবাগ থেকে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা শুনেছি।" তাহলে আপনি কাকে অনুসরণ করেন? আপনার চারপাশের চামচাদের?'

সমাবেশে নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ডিইউজে একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কবি আবদুল হাই শিকদার বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর