বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২ সপ্তাহের বৃষ্টিতে থমকে গেছে জীবন

  •    
  • ৩০ আগস্ট, ২০২১ ১৫:১৪

সীমান্তের এই জেলায় ভারী কোনো শিল্পকারখানা না থাকায় এখানকার বেশিরভাগ মানুষের উপার্জন হয় পাথর তুলে, চা বাগান কিংবা কৃষিজমিতে কাজ করে এবং দিনমজুরি করে। টানা বৃষ্টির কারণে তারা এখন বিপাকে পড়েছেন।

পঞ্চগড় শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে ভ্যানের ওপর অলস বসে আছেন চালক আব্দুল বারেক। অন্যান্য দিন এ সময় মালামাল পরিবহনে বেশ ব্যস্তই থাকা হয় বলে জানান তিনি।

তবে দুই সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি হওয়ায় তিনি কোনো কাজই পাচ্ছেন না। লোকজন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হচ্ছে না খুব একটা, মালামাল পরিবহনও সে কারণে কমে গেছে।

বারেক জানালেন, এ কয়দিন ধরে ভ্যান ভাড়া হচ্ছে না তেমন। সোমবার সকাল থেকে দুপুর অব্দি ভাড়ার অপেক্ষায় বসে আছেন। বাড়িতে তার অসুস্থ সন্তানের জন্য ওষুধ লাগবে, খাবার লাগবে ৬ সদস্যের। ভাড়া না পাওয়ায় হাত তার একেবারেই খালি।

শহরের সোনালী ব্যাংক কার্যালয়ের বারান্দায় বসে থাকতে দেখা গেছে আব্দুল কুদুস, সমের আলী, মো. রফিকুলসহ কয়েকজনকে। তারা ট্রাক থেকে মালামাল নামানোর কাজ করেন। বৃষ্টির কারণে তারাও বেকার।

এই জেলায় দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই বৃষ্টি। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রোকোন উদ্দিন জানান, এমন অবস্থা থাকবে আরও ১৫ দিন।

সীমান্তের এই জেলায় ভারী কোনো শিল্পকারখানা না থাকায় এখানকার বেশিরভাগ মানুষের উপার্জন হয় পাথর তুলে, চা বাগান কিংবা কৃষিজমিতে কাজ করে এবং দিনমজুরি করে। টানা বৃষ্টির কারণে তারা এখন বিপাকে পড়েছেন।

হাট-বাজার, রাস্তাঘাটে মানুষের চলাফেরা কমে যাওয়ায় রিকশা ও ছোট পরিবহনের চালকদের আয় একেবারেই কমে গেছে।

শহরের তেঁতুলিয়া সড়কের হোটেল রহমানিয়ার স্বত্বাধিকারী সফিয়ার রহমান বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে অব্যাহত বৃষ্টির কারণে হোটেল চলছে না তেমন। প্রতিদিনই ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।’

কাঁচা বাজারের আড়তদার সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সবজির আমদানি কমে গেছে, বেড়েছে সব কিছুর দাম। চড়া দামে সবজি কিনলেও ক্রেতার অভাবে তা বিক্রি করতে পারছি না।’

টানা বৃষ্টিতে জেলার নিম্নাঞ্চলে পানিও উঠেছে। তাতে কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বেশ কিছু এলাকায় নদনদীর পানি বেড়ে রাস্তাঘাট তলিয়েছে।

জেলা প্রশাসক জহুরুল হক জানান, প্রতিটি উপজেলায় জিআর, কাবিখাসহ বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। জেলা শহরে ওএমএস ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সংকট দেখা দিলে বরাদ্দ বাড়ানো হবে। বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দরিদ্র লোকজনের জন্য খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থাও আছে।

এ বিভাগের আরো খবর