বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এখনও লাইফ সাপোর্টে পাইলট নওশাদ

  •    
  • ৩০ আগস্ট, ২০২১ ১৩:১৩

বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাইলট নওশাদের অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত। গতকাল চিকিৎসকদের বোর্ড সভায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন।’

ভারতের নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইউমের অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাকে এখনও লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সোমবার দুপুর ১টায় নিউজবাংলাকে এ তথ্য দেন।

তিনি বলেন, ‘পাইলট নওশাদের অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত। গতকাল চিকিৎসকদের বোর্ড সভায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন।’

নওশাদের চিকিৎসা বিষয়ে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

বিমানের জনসংযোগ বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্যাপ্টেন নওশাদের অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত। তিনি এখনও লাইফ সাপোর্টে ভ্যান্টিনেশনে আছেন।’

এর আগে রোববার নওশাদ আর বেঁচে নেই বলে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছিল। এসব সংবাদ উড়িয়ে দিয়ে বিমানের এমডি ড. আবু সালেহ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল নিউজবাংলাকে জানান, নওশাদের চিকিৎসায় যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে সেখান থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। বোর্ডের সিদ্ধান্ত আসলে জানাতে পারবেন।

গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাসকাট থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করে ঢাকায় ফেরার পথে মাঝ আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়েন নওশাদ। এ সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

এমন পরিস্থিতিতে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি ভারতের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। ওই ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন ১২৪ জন। পরে জানা যায়, নওশাদের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।

ওই দিন রাতেই বিকল্প পাইলট ও ক্রু পাঠিয়ে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। আর নওশাদকে ভর্তি করানো হয় নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে।

সেখানে হাসপাতালের মেডিক্যাল সার্ভিসেস পরিচালক ডা. সুভরজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান ডা. রঞ্জন বারোকার এবং ডা. বীরেন্দ্র বেলেকারের অধীনে চিকিৎসা চলছে নওশাদের।

ক্যাপ্টেন নওশাদের চিকিৎসার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে সরকার থেকে। তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, নওশাদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেয়া হবে।

নওশাদের হঠাৎ অসুস্থতায় সবাই উদ্বিগ্ন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তার চিকিৎসার বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। তার দ্রুত সুস্থতার জন্য সকলকে প্রার্থনা করার অনুরোধ করছি।’

এর আগে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর ঝুঁকিপূর্ণ একটি ফ্লাইট নিরাপদে অবতরণ করিয়ে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হন পাইলট নওশাদ। বিজি-১২২ ফ্লাইটটিতে যাত্রী ছিলেন ১৪৯ জন, ক্রু ছিলেন ৭ জন এবং কো পাইলট ছিলেন ২ জন। বলতে গেলে নওশাদের দক্ষতায় বেঁচে যায় তাদের জীবন।

ওই বিমানটিও ওমান থেকে বাংলাদেশেও এসেছিল। বিমান বাংলাদেশের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি মাসকাট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে উড়াল দেয়ার পর সেখানকার কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেন নওশাদকে জানানো হয়, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত বিমানের এয়ার ক্রাফটের হতে পারে।

পাইলট নওশাদ যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নওশাদ বিমানটি চট্টগ্রামে না নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালালে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন।

অবতরণের আগে ক্ষতিগ্রস্ত টায়ারের বিষয়ে নিশ্চিত হতে রানওয়ের উপরে ‍দুইবার লো-লেভেলে ফ্লাই করেন নওশাদ। তখন দেখা যায়, উড়োজাহাজের পেছনের দুই নম্বর টায়ারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এটি নিশ্চিত হওয়ার পর দক্ষতার সঙ্গে ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করেন নওশাদ। এই কৃতিত্বে ব্যাপক প্রশংসিত হন তিনি। তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনপত্র পাঠায় আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশন।

এ বিভাগের আরো খবর