করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় শহরে লকডাউন দেয়ায় বৈশ্বিক কফি সরবরাহে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় কফি সরবরাহের হাব হিসেবে পরিচিত দেশটির হো চি মিন ভ্রমণে আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি।
ভিয়েতনাম কিছুটা কড়া ও তেঁতো স্বাদের রোবস্তা কফির প্রধান উৎপাদক। এটি তাৎক্ষণিক কফি তৈরি ও কিছু এসপ্রেসো উৎপাদনের জন্য দেশটির বিখ্যাত শহর হো চি মিন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এমন অবস্থায় চলতি বছর পাইকারি বাজারে রোবস্তা কফির বীজের দাম বেড়ে গেছে ৫০ শতাংশ।
লকডাউন দেয়ায় পরিবহন সমস্যায় ভিয়েতনামের রপ্তানিকারকরা কফিসহ অন্য পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
অন্যদিকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় রপ্তানিকারকরা কনটেইনারের স্বল্পতায় পড়েছেন। ফলে একদিকে কটনেইনার স্বল্পতা, অন্য দিকে পণ্য পরিবহনে খরচ বাড়ায় সমস্যায় পড়েছে কফি রপ্তানি।
ভিয়েতনামের শহর ও বন্দরটি বৈশ্বিক রপ্তানি পরিচালনার প্রধান কেন্দ্র, যার মাধ্যমে চীন ও ইউরোপের দেশগুলোত সব ধরনের পণ্য পৌঁছানো হয়।
ভিয়েতনামের কফি-কোকো অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্য বাণিজ্য সংগঠনগুলো সরকারের কাছে পণ্য পরিবহন করতে দিতে ও বাণিজ্যে বিধিনিষেধ শিথিলের আহ্বান জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে সমস্যা সমাধানে দেশটির পরিবহনমন্ত্রী কফিসহ অন্য পণ্য পরিবহনে অপ্রয়োজনীয় বাধা দেয়া থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার নির্দেশও দেন। এরপরও অবস্থার উন্নতি হয়নি বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
বিভিন্ন ধরনের প্রিমিয়াম কফি তৈরিতে ভিয়েতনাম গত কয়েক বছরে অনেক এগিয়ে গেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রিমিয়াম কফি অ্যারাবিকার বীজ তৈরিতে শীর্ষ দেশ এখন ব্রাজিল। তবে সম্প্রতি খরা ও ঠান্ডায় দেশটিতে সেই কফির উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্যাপক তুষারপাতের কারণে ১৯৯৪ সালের পর প্রথম এমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় কফির উৎপাদন। আর গত সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে অ্যারাবিকা কফির।