বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তাদের বিপথে নিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
জাতীয় শোক দিবস স্মরণে রোববার ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ছাত্রলীগ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান দেশের ছাত্র রাজনীতিতে অস্ত্রের প্রবর্তন করেন। তিনি ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে এ দেশের সম্ভাবনাময় মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করে তোলেন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর ছাত্র রাজনীতিতে এক নবযুগের সূচনা করেন। তিনি অস্ত্র নয়, কলমের শক্তির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন সব সময়।’
বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের ভূমিকা তুলে ধরে রাসেল বলেন, ‘বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন হতে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঝাঁপিয়ে পড়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়েও সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের উত্তরণসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসামান্য অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সুতোয় গাঁথা উল্লেখ করে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জেল-জুলুম আর অত্যাচার-নির্যাতনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ছিল জর্জরিত। তার যৌবনের ১৩টি বছর কেটেছে কারাগারে। ১৯৬৯ সালে ২১ দফা আন্দোলনের ভিত্তিতে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান জেল থেকে মুক্তি পান শেখ মুজিবুর রহমান।
‘২৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনকর্মের সঙ্গে তাই ছাত্রলীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’
ওই সময় প্রতিমন্ত্রী ছাত্রলীগের সব নেতা-কর্মীকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে দেশ ও মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।