বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড: ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিতে কমিশন গঠনে জোর

  •    
  • ৩০ আগস্ট, ২০২১ ০৮:৪৫

আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা শুধু কমিশনের মাধ্যমে এই জিনিসগুলোকে ফরমালাইজড করে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। নতুন প্রজন্মের অবশ্যই চিনতে হবে কারা মীরজাফর, কারা বাংলাদেশ চায় না; কারা দেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল।’

নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রকারীদের ইতিহাস জানতে চায় উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ষড়যন্ত্রীদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন প্রয়োজন।

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি আয়োজিত ‘সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী ও সুবিধাভোগী কারা?’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে রোববার রাতে প্রধান আলোচক হিসেবে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘নিরপেক্ষ একটা কমিশন যদি হয়, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটা কমিশন গঠন করে আমরা আজকে যে কথাগুলো বিক্ষিপ্তভাবে বললাম, সে কথাগুলো যদি রেকর্ডেড হয়ে থাকে, সে কথাগুলো যদি উনারা বিশ্লেষণ করে তাদের একটা মতামত দেন, সেটা ইতিহাসে যত গুরুত্ব পাবে। আমাদের কথাগুলো হয়তো খণ্ডিতভাবে গুরুত্ব পাবে। যদি কমিশন করে এই তথ্যগুলো দেয়া হয় তবে বেশি গুরুত্ব পাবে।’

বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম ইতিহাসের এসব সত্য জানতে চায়। সে কারণেই এখন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং তার ষড়যন্ত্রীদের চিহ্নিত করা নিয়ে আগ্রহ ও প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা শুধু কমিশনের মাধ্যমে এই জিনিসগুলোকে ফরমালাইজড করে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের অবশ্যই চিনতে হবে কারা মীরজাফর, অবশ্যই চিনতে হবে কারা বাংলাদেশ চায় না; কারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল।’

এসব সত্য যদি জানা না যায়, তাহলে বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে পৌঁছালেও একসময় ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এই ইতিহাস তাদের জানতে হবে। এর মাধ্যমে যারা চিহ্নিত রাজাকার, দেশের শত্রু, তাদের মুখোশটা পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। তাহলে তারাও সতর্কভাবে পথ চলতে পারবে।

‘একটা কমিশনের রিসার্চের মাধ্যমে তাদের ফাইন্ডিংসগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন সফল হবে।’

জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের যে ষড়যন্ত্র, সেটি এখনও শেষ হয়নি বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৭ মার্চের আগে মেজর জিয়া বলে কোনো মেজরকে বাংলাদেশের কেউ চিনত?’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বিনা ভোটে প্রেসিডেন্ট হয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। তিনি যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন সেটা তার কাজেই প্রমাণ হয়েছে।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন।

এ বিভাগের আরো খবর