চট্টগ্রামের মুরাদপুরে নালায় ডুবে সবজি ব্যবসায়ীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পঞ্চম দিনেও নিষ্ফল ফায়ার সার্ভিস।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ হলেও নিখোঁজ ছালেহ আহমেদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পরিদর্শক সেকান্দর মোল্লা। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মুরাদপুর থেকে কর্ণফুলী পর্যন্ত খুঁজেছি তাকে, কিন্তু কোথায় পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত চট্টগ্রামের নালা ও খালগুলোতে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা। এর অধিকাংশই পলিথিন ও অন্যান্য প্লাস্টিকজাত দ্রব্য। তাই বৃষ্টি হলে এসব ময়লা-আবর্জনা পানির ওপরে উঠে যায়, নিচ দিয়ে চলে পানি।
‘আবার পানি কমলে আবর্জনাও বসে যায়। তাই আমাদের ধারণা, মরদেহ কেথায় আটকে ছিল হয়তো, পরে পানি কমে যাওয়ায় ময়লা-আবর্জনার নিচে চাপা পড়েছে।’
এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদ। তাকে উদ্ধারে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুই দফায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস।
ছালেহ আহমেদের বাড়ি পটিয়া উপজেলার মনসা চৌমুহনী এলাকায়। তিনি নগরীর চকবাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ওই দিন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এলাকাবাসী জানান, ছালেহ আহমেদ চকবাজার থেকে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরিফে যাচ্ছিলেন। পথে ওই জলাবদ্ধ নালার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত পড়ে নিখোঁজ হন তিনি।
ওই দিন রাত হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস। পরদিন বৃহস্পতিবার সারা দিন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে চলে উদ্ধার অভিযান।
শুক্রবার সারা দিনও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. হাসানের নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান চলে। শনিবারও ফায়ার ইন্সপেক্টর ফকর উদ্দিনের নেতৃত্বে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলে।