বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাঙনের মুখে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি জাদুঘর

  •    
  • ২৯ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৫৫

গন্ধখালী গ্রামের বাসিন্দা আসলাম শেখ জানান, এর আগে নদীভাঙনে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে যাওয়ার সড়কটির কিছু অংশ বিলীন হয়ে গিয়ে যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ ছিল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ দিয়ে সড়কটি ফের নির্মাণ করায় যাতায়াত করা যাচ্ছে।

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে মধুমতী নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে রউফনগরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর।

মধুমতীর ভাঙনে এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে ওই এলাকার ফসলি জমি, বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ অসংখ্য স্থাপনা। এ ছাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের প্রায় ৫০০ পরিবার। পানীয় জল ও গবাদিপশুর খাদ্যসংকটও দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মধুমতীর পানি বেড়ে কামারখালী ইউনিয়নের দয়ারামপুর, রউফনগর, চরগয়াসপুর, জারজাননগর, বকশিপুর, গন্ধখালী ও ফুলবাড়িয়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। এতে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে নদীতীরের বাসিন্দাদের।

রউফনগর গ্রামের শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই এলাকায় মধুমতীর ভাঙন চলছে। বর্তমানে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

তিনি আরও জানান, তীব্র ভাঙনে হুমকিতে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি। নদী থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে রয়েছে জাদুঘরটি। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে বাঁধ না দিলে জাদুঘরটি রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

গন্ধখালী গ্রামের বাসিন্দা আসলাম শেখ জানান, এর আগে নদীভাঙনে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে যাওয়ার সড়কটির কিছু অংশ বিলীন হয়ে গিয়ে যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ ছিল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ দিয়ে সড়কটি ফের নির্মাণ করায় যাতায়াত করা যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, নদীভাঙনে এখন পর্যন্ত গন্ধখালী গ্রামের শতাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। এ ছাড়া এলাকা ছেড়ে অনেকেই ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে অন্য জায়গায় চলে গেছে।

কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান বিশ্বাস বাবু জানান, মধুমতী নদীর পানি বেড়ে তার ইউনিয়নের ছয়-সাত গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। পানীয় জল ও গবাদিপশুর খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সহায়তা দিতে পারেননি।

তিনি আরও জানান, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে যাওয়ার সড়কটির কয়েকটি অংশ বিলীন হয়ে গিয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে সড়কটি ঠিক করেছে। তবে যেখানে জাদুঘরটি অবস্থিত, তার অপর পাশে বাঁধ দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। বাঁধ না দিলে জাদুঘরটি রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, তা পরিদর্শন করা হয়েছে। শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর