চাইলেই টিকা পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে রোববার দুপুর দুইটার দিকে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
খুরশীদ আলম বলেন, ‘টিকা সংগ্রহ ও পাওয়াটা আমাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। এটা টিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক যে রাজনীতি তার ওপর নির্ভর করে। টিকা পাওয়া সাপেক্ষে আমরা দ্রুততম সময়ে সবাইকে টিকার আওতায় আনব। গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর দেয়া হবে।’
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা যায়, এই জেলায় এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫১ হাজার ২১২ জন টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে দেড় লাখ মানুষ করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ ও ৩৯ হাজার মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন।
মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় ২য় ডোজ টিকাদান বন্ধ হয়ে গেছে।
হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকটের বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘শিগগিরই সাড়ে ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা হবে। আমরা নতুন নিয়োগকৃত চিকিৎসকদের তাদের নিজ জেলায় পদায়নের চেষ্টা করব।
‘৫০ শয্যার যে হাসপাতালগুলোতে অপারেশনের সুযোগ আছে সেখানে অ্যানেস্থেশিয়ার চিকিৎসক দেয়া হবে।’
হাসপাতালের দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় অভিযোগ আসে উত্তরাঞ্চলের চিকিৎসা সেবায় নজর দেয়া হয় না। এ জন্যই আমার এ সফর। সব বিষয় খতিয়ে দেখে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’