পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ড রিলায়েন্স ওয়ান গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
জুনে অর্থবছর শেষ করেছে, এমন ২৯টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করেও তাদের লভ্যাংশ এসেছে প্রত্যাশার চেয়ে কম।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত অর্থবছরে ইউনিটপ্রতি ৪ টাকা ৬ পয়সা আয় করে ১ টাকা ৫ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রোববার ফান্ডটির ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে ফান্ডটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে জুনে অর্থবছর শেষ করা সবগুলো ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা শেষ হলো। এসব ফান্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে এইমস বাংলাদেশের দুটি ফান্ড, যার একটি রিলায়েন্স ওয়ান এবং অপরটি গ্রামীণ টু।
এর মধ্যে গ্রামীণ টু সবচেয়ে বেশি ৬ টাকা ৮ পয়সা আয় করেছে। তবে তাদের কাছ থেকেও প্রত্যাশিত লভ্যাংশ পাওয়া যায়নি। এর কারণ এই লভ্যাংশের মধ্যে ৪ টাকা ৪৭ পয়সাই আনরিয়েলাইজড গেইন হিসেবে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ শেয়ার বিক্রি করলে এই পরিমাণ মুনাফা হতো। কিন্তু রিয়েলাইডজ গেইন হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা।
গ্রামীণ টুর মতো রিলায়েন্স ওয়ানও একটি গ্রোথ ফান্ড, যার আয়ের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নগদে বিতরণ করার কথা। কিন্তু আয়ের ২৫ শতাংশের কিছু বেশি লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করার যে সিদ্ধান্ত এসেছে, তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
গ্রামীণ টুর আয়ের সিংহভাগ আনরিয়েলাইজড গেইনের জানানো হলেও ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে রিলায়েন্স ওয়ানের লভ্যাংশ বিষয়ক ঘোষণায় কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
এইমস ছাড়া অন্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি পরিচালিত ২৭টি ফান্ড যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছ, তার মধ্যে গ্রোফ ফান্ডগুলোও গত বছরের লোকসান সমন্বয় করে সর্বনিম্ন ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
রিলায়েন্স ওয়ান গত বছর ইউনিটপ্রতি ৪ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। ফলে চলতি বছরের লোকসানের বিপরীতে সমন্বয় করার তেমন কোনো বিষয় ছিল না।
এই লভ্যাংশ নিতে চাইলে বিনিয়োগকারীদেরকে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ইউনিট ধরে রাখতে হবে।