বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬ টাকা আয় করে ১ টাকা ৩০ পয়সা লভ্যাংশ গ্রামীণ টুর

  •    
  • ২৯ আগস্ট, ২০২১ ১৮:০৪

২০০৮ সালে ১৫ বছর মেয়াদে কার্যক্রম শুরু করা ফান্ডটি লভ্যাংশ ঘোষণার নীতিমালায় উল্লেখ করেছে, আগের বছর লোকসান থাকলে তার বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে আয়ের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করবে। গত বছর লোকসান না থাকায় এবার ৫০ শতাংশ হিসেবে ৩ টাকা ৪ পয়সা কেন দেয়া হলো না, তার একটি ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, এই আয়ের মধ্যে ১ টাকা ২১ পয়সা ‘রিয়েলাইজড গেইন’। অর্থাৎ বাকি ৪ টাকা ৮৭ পয়সা তাদের আয় হতো শেয়ার বিক্রি করে। কিন্তু বিক্রি না করলেও সেটি তাদের আয় হিসেবে দেখানো হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ড গ্রামীণ টু গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

জুনে অর্থবছর শেষ করেছে, এমন ২৯টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় করেও তাদের লভ্যাংশ এসেছে তুলনামূলক কম। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত অর্থবছরে ইউনিটপ্রতি ৬ টাকা ৮ পয়সা আয় করে ১ টাকা ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোববার ফান্ডটির ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে ফান্ডটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এই লভ্যাংশ দিতে চাইলে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ইউনিট ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

এটি একটি গ্রোথ ফান্ড, যার আয়ের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নগদে বিতরণ করার কথা। কিন্তু সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এইমস বাংলাদেশ আয়ের ২০ শতাংশের কিছু বেশি লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার একটি ব্যাখ্যা অবশ্য দেয়া হয়েছে পরোক্ষভাবে।

ফান্ডটি যে আয় করেছে, তার মধ্যে ১ টাকা ২১ পয়সা তাদের ‘রিয়েলাইজড গেইন’ বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ শেয়ার কেনাবেচা করে বা শেয়ারের লভ্যাংশ থেকে এই আয় করেছে তারা। আর বাকি ৪ টাকা ৮৭ পয়সা তাদের আয় হতো শেয়ার বিক্রি করে। কিন্তু বিক্রি না করলেও সেটি তাদের আয় হিসেবে দেখানো হয়েছে।

জুনে অর্থবছর শেষ করা কোনো ফান্ডই পুঁজিবাজারে এত বেশি আয় করতে পারেনি। এর আগে ২৭টি ফান্ড যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছ, তার মধ্যে গ্রোফ ফান্ডগুলোও গত বছরের লোকসান সমন্বয় করে সর্বনিম্ন ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

গ্রামীণ টুর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ৩৯ পয়সা আয় করেছিল। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা এই ফান্ডটির লভ্যাংশ নিয়ে ব্যাপকভাবে উৎসাহী ছিলেন। চতুর্থ প্রান্তিকে তারা ইউনিটপ্রতি আরও ২ টাকা ১৯ পয়সা আয় করেছে।

গ্রামীণ টুর আর্থিক হিসাব ও লভ্যাংশ বিষয়ে ঘোষণা

২০০৮ সালে ১৫ বছর মেয়াদে কার্যক্রম শুরু করা ফান্ডটি লভ্যাংশ ঘোষণার নীতিমালায় উল্লেখ করেছে, আগের বছর লোকসান থাকলে তার বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে আয়ের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করবে।

২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগ লোকসান দিলেও গ্রামীণ টু মুনাফায় ছিল। সে বছর তারা ৭৪ পয়সা আয় করে ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।

ফলে এবার গত বছরের লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের বিষয় ছিল না। ৬ টাকা ৮ পয়সার বিপরীতে নীতিমালা অনুযায়ী ৩ টাকা ৪ পয়সা বিতরণযোগ্য ছিল। কিন্তু লভ্যাংশ কম হয়েছে মূলত রিয়েলাইজড ও আনরিয়েলাইজড গেইন এর হিসেবের কারণে।

রিয়েলাইজড গেইন ছাড়া আনরিয়েলাইজড গেইনের কথা উল্লেখ করে কেন এর আগে আর্থিক হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে এইমস বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে দেয়া নম্বরে কল করলে যিনি ফোনটি ধরেছেন, তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না। আপনি অফিস সময়ে কল করলে স্যাররা বলতে পারবেন। আমরা লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য কেবল অনলাইনে আপলোড করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর