বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন নদীর পানি বেড়ে টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

  •    
  • ২৯ আগস্ট, ২০২১ ১৭:৪৫

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনাসহ জেলার বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন গ্রামে দেখা দিয়েছে ভাঙন। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন নিরূপণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি কমে গেলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারণে টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে টাঙ্গাইলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এদিকে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এর শাখা লৌহজং ও বংশাই নদীর পানিও বেড়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘যমুনাসহ জেলার বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন গ্রামে দেখা দিয়েছে ভাঙন। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন নিরূপণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি কমে গেলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’স্থানীয় লোকজন জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনার অর্ধশতাধিক চরাঞ্চলসহ টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর, মির্জাপুর, বাসাইল ও নাগরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এতে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত রয়েছে নদীভাঙন।

ভাঙনের ফলে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর ও বাসাইলের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের শতাধিক বসতভিটা, মসজিদ, বাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি।

নিজ উদ্যোগে বস্তায় মাটি ভরে মসজিদের ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন গ্রামবাসী। ছবি: নিউজবাংলা

এদিকে বসতভিটায় পানি ওঠায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারসংকটে পড়েছেন বন্যা দুর্গতরা। এ পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন তারা। ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ায় অনেকেই গবাদিপশুসহ উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন।

এ ছাড়া বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে আমনের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।

ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ভালকুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা রহিম, রফিক, আব্দুলসহ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ‘ভাঙনের কবলে পড়ে আমাদের এলাকার শত শত বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে গেছে। মসজিদটিও ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে।

‘তা সত্ত্বেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ কারণে নিজেরাই বস্তায় মাটি ভরে মসজিদটির ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’এ ব্যাপারে কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার বলেন, ‘চলতি বন্যায় আমার ইউনিয়নের আলীপুরসহ আশপাশের এলাকার দুই শতাধিক ঘরবাড়ি যমুনায় বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া শত শত ঘরবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙন এখনও অব্যাহত।’

এ বিভাগের আরো খবর