করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে নিবন্ধন করে দেড় কোটির বেশি মানুষ অপেক্ষায় রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসএমএস দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে রোববার অনলাইনে স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন এ তথ্য জানান।
দেশে করোনায় মৃত্যু হওয়া ২৫ হাজারের মধ্যে ৪১ থেকে ৮০ বছর বয়সী অন্তত ২০ হাজার। টিকা দেয়া হচ্ছে ২৫ বছর ওপরের সবাইকে।
এক প্রশ্নের উত্তরে রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমাদের টিকা প্রাপ্যতা কম। তাই চেষ্টা করি টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে দেয়া হোক। এসএমএস কিন্তু একই সময়ে সবাই পান না। সাধারণত ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই এসএমএস দেয়া হচ্ছে। আগে তাদের টিকা নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।’
কম বয়সীরা নিবন্ধন করলেও একটু দেরিতে এসএমএস পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে নিজেদের বাবা-মায়ের টিকা নিশ্চিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি নিবন্ধন সহজ করার পরও অনেকেই নিবন্ধন করেননি। যেহেতু টিকাকেন্দ্র বৃদ্ধি পেয়েছে, একই সঙ্গে টিকাকেন্দ্রের বুথ বাড়ানো হয়েছে।’
বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে দ্রুত সময়ে টিকাদান নিশ্চিতে কেন্দ্রগুলোতে বুথ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সম্প্রতি রাজধানীর নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে টিকাকেন্দ্রে বুথ বাড়ানোর কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে টিকাদান কার্যক্রম বাড়বে বলে জানান তিনি। ক্রমান্বয়ে টিকা আসায় পর্যায়ক্রমে তা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।