বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আনসার আল ইসলামের কর্মী সন্দেহে কলেজছাত্রী গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৯ আগস্ট, ২০২১ ১৫:১২

সিটিটিসির প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, নাবিলার পরিবর্তন খেয়াল করে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে পরিবার। কিন্তু সে পাত্রের সঙ্গে একান্তে দেখা করার কথা বলে। দেখা করার পর সে নিজের শহীদ হওয়ার ইচ্ছার কথা জানালে সেই ছেলে বিয়েতে না করে দেয়।

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় কর্মী সন্দেহে এক কলেজছাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট- সিটিটিসি।

রাজধানীর মিন্টো রোডে রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কাউন্টার টেররিজম ইউনিটপ্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, জোবাইদা সিদ্দিকা নাবিলা নামের ওই কলেজছাত্রীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে জঙ্গিবাদের কাজে ব্যবহৃত সিম কার্ড ও মেমোরি কার্ডসহ মোবাইল জব্দ করার কথা জানায় সিটিটিসির প্রধান। এ ছাড়া তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কয়েকটি অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণের কথাও জানান তিনি।

পরিবারকে উদ্ধৃত করে আসাদুজ্জামান বলেন, তার পরিবর্তন খেয়াল করে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জোবাইদা পাত্রের সঙ্গে একান্তে দেখা করার কথা বলে। দেখা করার পর সে নিজের শহীদ হওয়ার ইচ্ছার কথা জানালে সেই ছেলে বিয়েতে না করে দেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাবিলা ২০২০ সালের প্রথম দিকে নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে ছেলের ছদ্মনামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার কথা জানায়। একসময় সে ফেসবুকে আনসার আল ইসলামের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ‘তিতুমীর মিডিয়া’র খোঁজ পায়। তখন সে পেজে যুক্ত হয়ে আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন উগ্রবাদী ভিডিও, অডিও ও আর্টিকেল সম্পর্কে জানে এবং তাদের মতাদর্শ মানা শুরু করে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান আসাদুজ্জামান।

সিটিটিসির প্রধান বলেন, একসময় নাবিলা ‘তিতুমীর মিডিয়া’ পেজের অ্যাডমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই পেজের অ্যাডমিন নাবিলাকে বিভিন্ন উগ্রবাদী ও জিহাদি কনটেন্টের লিঙ্ক দেয়া শুরু করে। এসব থেকেই একসময় সে নিজেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে।

আসাদুজ্জামান জানান, নাবিলা ফেসবুক, টেলিগ্রাম ও চার্পওয়্যার নামক অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিভিন্ন ছদ্মনামে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে উগ্রবাদ ছড়াচ্ছিল।

জঙ্গিবাদী মতাদর্শ ছড়াতে নাবিলা কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ৭টি অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করত বলেও জানানো হয়।

আসাদুজ্জামান বলেন, উগ্রবাদ মতাদর্শ প্রচার করতে নাবিলা টেলিগ্রামের ৪টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৫টির বেশি চ্যানেল পরিচালনা করত। সেসব চ্যানেলে আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন উগ্রবাদী সহিংস ভিডিও, অডিও, ছবি ও ফাইল শেয়ার করত। সেগুলোতে তার ২৫ হাজার সাবস্ক্রাইবার রয়েছে।

তিনি বলেন, নাবিলা কেবল উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী। এই বয়সে সে উগ্রবাদের রেডিক্যালাইজেশনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গেছে। উগ্রবাদীদের ব্রেইন ওয়াশের কারণে জিহাদের ময়দানে অংশ নিতে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছিল।

এ বিভাগের আরো খবর