বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও রাসেল রিমান্ডে

  •    
  • ২৯ আগস্ট, ২০২১ ১৪:৩২

১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গত ২৩ আগস্ট ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও বর্তমান চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহকেও পাঁচ দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

প্রতারণা করে গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চার দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবুবকর ছিদ্দিক রোববার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন গ্রহণ করে আদালত।

এরপর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাসেলের পক্ষে শান্তনু ধর রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, নাজমুল আলম রাসেল নিজেই একজন ভিকটিম। চার মাস আগে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে, কেন তাকে রিমান্ডে নেয়া হবে।

রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রাসেলকে চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।

এর আগে ১২ আগস্ট তেজগাঁও থানায় করা অর্থ আত্মসাৎ মামলায় রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় তাকে দুই দফায় রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

এ মামলায় গত ২৩ আগস্ট ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও বর্তমান চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

গুলশান থানায় ১৭ আগস্ট মামলাটি করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামে এক গ্রাহক। এ সময় প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন ভুক্তভোগী উপস্থিত থেকে তার সঙ্গে সাক্ষ্য দেন।

মামলা করার দিনই সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমান আদালতে এসে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

আমান উল্যাহকে ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়।

মামলায় তাহেরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বারবার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে, কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি। সবশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। এ ছাড়া তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘এই করোনাকালে আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছি না, বরং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। এ ছাড়া আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।’

এ বিভাগের আরো খবর