দিনাজপুরের কাহারোলে ঢেপা নদীতে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে পুনর্ভবা নদী থেকে। এর আগে তাকে খুঁজতে নেমে মৃত্যু হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের এক ডুবুরির।
জেলার বিরল উপজেলার কামদেবপুর গ্রাম পুনর্ভবা নদীতে রোববার ভোর ৬টার দিকে কয়েকজন জেলে ওই যুবকের মরদেহ দেখতে পান।
তার পরিবার গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যায়।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাহারোল উপজেলার ৬ নম্বর রামচন্দ্রপুর ইউনয়নের মেম্বর সুনীল দেব শর্মা। মৃত সুজন দেব শর্মা ওরফে বুধুর বাড়ি ওই ইউনিয়নে।
সুনীল জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কান্তজিউয়ের বিগ্রহ আনার সময় ঢেপা নদীতে নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ হন সুজন।
মরদেহ ভেসে কামদেবপুরে পুনর্ভবা নদীর তীরে গিয়ে পৌঁছে। সেখানকার জেলেরা মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে থানায় কেউ কিছু জানায়নি। পুলিশকে না জানিয়েই পরিবার মরদেহ নিয়ে গেছে।’
ওই যুবককে উদ্ধারে শনিবার সকালে ঢেপা নদীতে নেমে মারা যান ডুবুরি আব্দুল মতিন। তিনি রংপুর ফায়ার সার্ভিসে কাজ করতেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ওই যুবককে খুঁজতে কোমরে দড়ি বেঁধে পানিতে নামেন মতিন। সে সময় নিচে কোনো কিছুর সঙ্গে ওই দড়ি আটকে যায়। এতে তিনি দীর্ঘ সময় পানির নিচে আটকে ছিলেন।
অন্য ডুবুরিরা বিষয়টি টের পেয়ে নদীতে নেমে অসুস্থ অবস্থায় মতিনকে উদ্ধার করেন। সেখান থেকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মর্তুজা সরকার জানান, মেডিক্যালে আনার আগেই ডুবুরির মৃত্যু হয়।