বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অসুস্থ পাইলট নওশাদ আতাউল কাইউমের অবস্থা গুরুতর। সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় তিনি বেঁচে আছেন বলে জানিয়েছে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ওই হাসপাতালে বরাতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানিয়েছে, নওশাদ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) কোমায় আছেন।
হাসপাতালটির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধে বলেন, ‘তার (ক্যাপ্টেন নওশাদ) অবস্থা গুরুতর... তিনি সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বেঁচে আছেন... তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে... তিনি কোমায় আছেন।’
হাসপাতালের মেডিক্যাল সার্ভিসেস পরিচালক ডা. সুভরজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান ডা. রঞ্জন বারোকার এবং ডা. বীরেন্দ্র বেলেকারের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নওশাদ।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। নওশাদের দুই বোন এখন নাগপুরে আছেন। নওশাদ এখনও ভ্যান্টিলেশনে আছেন। দুপুরের পর স্থানীয় চিকিৎসকেরা বোর্ড মিটিং করে তার সবশেষ পরিস্থিতি জানাবেন। নওশাদের মৃত্যুর একটি খবর বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি সঠিক নয়। পুরোপুরি গুজব।’
গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাসকাট থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করে ঢাকায় ফেরার পথে মাঝ আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়েন নওশাদ। এ সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।
এমন পরিস্থিতিতে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়। ওই ফ্লাইটে যাত্রী ছিল ১২৪ জন। পরে জানা যায়, নওশাদের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।
বিমানটি শুক্রবার রাতেই বিকল্প পাইলট ও ক্রু দিয়ে ফিরিয়ে আনা হয় ঢাকায়। আর নওশাদকে ভর্তি করানো হয় নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে।
ক্যাপ্টেন নওশাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, নওশাদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেয়া হবে।
নওশাদের হঠাৎ অসুস্থতায় সবাই উদ্বিগ্ন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তার চিকিৎসার বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। তার দ্রুত সুস্থতার জন্য সকলকে প্রার্থনা করার অনুরোধ করছি।’