সিরাজগঞ্জে টানা তিন দিন উজানের ঢলে যমুনার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বিভিন্ন উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।
যমুনার পানি রোববার সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীগুলোর পানিও বেড়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার পরিমাপক আব্দুল লতিফ নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানিয়েছেন, তিন দিন ধরে যমুনার পানি বাড়ায় জেলার নিম্নাঞ্চলের ১৭টি ইউনিয়ন পুরোপুরি ও নয়টি ইউনিয়ন আংশিক তলিয়েছে।
এর মধ্যে রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পানি ঢুকেছে কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ২০টি গ্রামে।
তিনি বলেন, এসব গ্রামের রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত। বিভিন্ন এলাকায় চলাচলের জন্য নৌকা ব্যবহার করতে দেখা গেছে স্থানীয়দের।
জেলার চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরে ভাঙছে নদী। তাতে ঘর হারানোর আতঙ্কে আছেন শতাধিক পরিবার।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে যমুনা নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। তবে পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বন্যার তেমন কোনো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’
ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমরা নিয়মিত পানির খোঁজখবর রাখছি। পাঁচটি উপজেলায় ১২৫ টন চাল ও দেড় লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা সেটা তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করবেন। এ ছাড়াও জেলায় ৫১ টন চাল ও দুই লাখ টাকা বন্যার্তদের জন্য মজুত রাখা হয়েছে।’
কোথায় কোথায় নতুন করে ত্রাণের প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে তা নিয়মিত খোঁজ রাখা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।