বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘চারদিনেও কেন বাবার খোঁজ মিলছে না?’

  •    
  • ২৯ আগস্ট, ২০২১ ০১:৩৭

‘আমরা শুক্রবার ওই খালের আশেপাশে ও কর্ণফুলীতে মাইকিং করেছি, আত্মীয়স্বজন নিয়ে খুঁজেছি, আজও খুঁজেছি। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান প্রয়োজনের তুলনায় ছোট পরিসরে হচ্ছে। নাহলে একটা মানুষ এভাবে গায়েব হয়ে যেতে পারে? চারদিনেও কেন বাবার খোঁজ মিলছে না?’

চট্টগ্রামের মুরাদপুরে নালায় ডুবে যাওয়া ছালেহ আহমেদের খোঁজ মিলেনি ৪ দিনেও।

শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ফায়ার সার্ভিসের চতুর্থ দিনের উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে বলে জানান আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ইন্সপেক্টর ফকর উদ্দিন।

এদিকে নিখোঁজ ছালেহ আহমেদের ছেলে মো. মাহিন উদ্ধার অভিযান নিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন নিউজবাংলাকে।

তিনি বলেন, ‘আমরা শুক্রবার ওই খালের আশেপাশে ও কর্ণফুলীতে মাইকিং করেছি, আত্মীয়স্বজন নিয়ে খুঁজেছি, আজও খুঁজেছি। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান প্রয়োজনের তুলনায় ছোট পরিসরে হচ্ছে। নাহলে একটা মানুষ এভাবে গায়েব হয়ে যেতে পারে? চারদিনেও কেন বাবার খোঁজ মিলছে না?’

নিখোঁজের দিন উদ্ধার অভিযান শুরু হতে চার ঘণ্টা দেরি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা দুপুর ১২টায় খবর পেয়েছি। ঘটানস্থলে পৌঁছাতে ১টা বেজে গেছে। তখন আমি ঘটানস্থলে ফায়ার সার্ভিসকে পাইনি। তারা এসেছে ৩টা ২০ মিনিটের দিকে। চার ঘণ্টা দেরির কারণ জিজ্ঞেস করায় তারা বলেছে, আমার বাবার অভিবাবক না থাকায় নাকি অভিযান শুরু করতে পারেনি। একটা মানুষ পানিতে ভেসে গেছে, তাকে উদ্ধার করতে আবার অভিবাকের জন্য অপেক্ষা করতে হয় নাকি?’

বাবা নিখোঁজের পর থেকে ছোটবোন ও মা কারো সঙ্গে কথা বলছেন না বলেও জানান তিনি।

নিখোঁজ ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদের ছেলে মাহিন

তবে অভিযোগের বিষয়ে বুধবার অভিযানের নেতৃত্বে থাকা বিপ্লব কুমার নাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আসলে এরকম নয়। ছালেহ আহমেদ নামের ওই ভদ্রলোক নালায় পড়ে যান সকাল সাড়ে ১০টায়। এর কিছুক্ষণ পর আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু সেসময় আমরা নিশ্চিত হতে পারছিলাম না, তাছাড়া তখন প্রচণ্ড স্রোত থাকায় উদ্ধার কাজও শুরু করা যায়নি। আবার সেসময় চারদিকে পানি থাকায় সড়কে প্রচণ্ড জ্যাম ছিল। জ্যামের কারণে আমরা দুইনম্বর গেইট দিয়ে ফ্লাইওভারে উঠে বহদ্দারহাট শমসের পাড়া গিয়ে খোঁজার চেষ্টা করি। এরপর আমরা খবর পাই মুরাদপুরের পূর্ব দিকে এন মোহাম্মদ কনভেশন হলের দিকে মরদেহ পাওযা গেছে, সেখানে গিয়ে আমরা কিছু খুঁজে পাইনি।’

‘পরে কন্ট্রোলরুম থেকে খবর পাই ঘটনাস্থলে নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজন এবং কাউন্সিলর আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। তখন আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে নিশ্চিত হই আসলেই এক ব্যক্তি পানিতে তলিয়ে গেছে। তখন আমাদের ডুবুরি দলের ৩ সদস্য নিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করি।’

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদ। তাকে উদ্ধারে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুই দফায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস।

ছালেহ আহমেদের বাড়ি পটিয়া উপজেলার মনসা চৌমুহনী এলাকায়। তিনি নগরীর চকবাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ওই দিন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এলাকাবাসী জানান, সালেহ আহমেদ চকবাজার থেকে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারি দরবার শরীফে যাচ্ছিলেন। পথে ওই জলাবদ্ধ নালার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত পড়ে নিখোঁজ হন তিনি।

ওই দিন রাত হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস। পরদিন বৃহস্পতিবার সারাদিন আগ্রবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে চলে উদ্ধার অভিযান। শুক্রবার সারাদিনও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. হাসানের নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান চলে। সর্বশেষ শনিবার আগ্রবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ইন্সপেক্টর ফকর উদ্দিনের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর