বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতালের লিফট বিকল, সিঁড়িতেই প্রসব

  •    
  • ২৯ আগস্ট, ২০২১ ০০:৪০

রিপন মিয়া নামে এক রোগী বলেন, এত বড় হাসপাতালে শুধুমাত্র দুইটি লিফট দেয়া ঠিক হয়নি। যন্ত্র নষ্ট হতেই পারে। এতো প্রয়োজনীয় একটি জিনিস ঠিক করতে দিনের পর দিন লেগে যাচ্ছে। এটা দুঃখজনক।

শেরপুর জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের নতুন ভবনের দুটি লিফটই চার দিন ধরে বিকল।

যে কারণে ৯ তলা এ ভবনে উঠা-নামা করতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়ছেন হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। এদিকে চিকিৎসক, নার্সরাও রয়েছে দুর্ভোগে।

শনিবার দুপুরের দিকে সদর উপজেলার গাজীরখামারের সুফিয়া বেগম নামের এক আসন্ন প্রসবা নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লিফট না পেয়ে সিঁড়ি বেয়ে পাঁচ তলা গাইনি ওয়ার্ডে যাওয়ার সময় প্রথম তলার সিঁড়িতেই বাচ্চা প্রসব করেন। হাসপাতালের লিফট না থাকায় ওই প্রসূতির স্বজন ও সেবা নিতে আসা মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সদর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার আরএমও খায়রুল কবির সুমন জানিয়েছেন, হুইল চেয়ার থেকে নামিয়ে স্ট্রেচারে নেয়ার সময় ওই নারী বাচ্চা প্রসব করেন। সেখানে থাকা চিকিৎসক ও নার্সরা নবজাতক ও মাকে সেবা দিয়ে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করে। এখন মা ও নবজাতক সুস্থ রয়েছে ।

রাবেয়া বেগম নামে আরেক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমি মহিলা মানুষ। পাঁচ তলায় আমায় নাতি ভর্তি। বাপুরে অতো উপরে সিড়ি বাইয়ে উঠা খুব মুশকিল। আর পারতেছি না। আমি হাই পেশারের রোগী। সেখানে উঠানামা করতে গেলে আমার জান বের হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে যায়।’রিপন মিয়া নামে এক রোগী বলেন, এত বড় হাসপাতালে শুধুমাত্র দুইটি লিফট দেয়া ঠিক হয়নি। যন্ত্র নষ্ট হতেই পারে। এতো প্রয়োজনীয় একটি জিনিস ঠিক করতে দিনের পর দিন লেগে যাচ্ছে। এটা দুঃখজনক।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নার্স বলেন, ৮ তলার হাসপাতালে সিড়ি বেয়ে উঠা খুবই ভোগান্তির ব্যাপার। সুস্থ মানুষের পক্ষেই এত উপরে উঠানামা করা দুরূহ। আর রোগীর জন্য বিষয়টা কতটা কষ্টসাধ্য তা বুঝতে বেশি বুদ্ধির দরকার নেই।৯তলা বিশিষ্ট এই হাসপাতালজুড়ে রয়েছে করোনা ইউনিট, জরুরি ভর্তি রোগীর শয্যা, ডাক্তার চেম্বার, অপারেশন থিয়েটারসহ অতি প্রয়োজনীয় সেবা দানের বিভিন্ন বিভাগ।এ বছরের ৭ জানুয়ারি লিফট ও ওই হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বশেষ ২৪ আগস্ট থেকে লিফট দুটি বিকল হয়ে আছে। এতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে করোনা আক্রান্ত, প্রসূতি নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুর রউফ বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে লিফট দুটি বন্ধ রয়েছে। লিফট চালু করতে ইতিমধ্যে জেলার গণপূর্ত বিভাগকে অবগত করা হয়েছে। গণপূর্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে।এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ শেরপুর গণপূর্তের নির্বার্হী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান জানান, লিফটে পানি ঢুকলে লিফট নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অবগত করা হয়েছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর