বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় দাফনের ১১ দিন পর কবর থেকে ফাইমা আক্তার নামের এক নারীর মরদেহ তোলা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার জানপাড়া গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি তোলা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়েছে পুলিশ।
ফাহিমা বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সজনাতাউর গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে। তার স্বামী সাইদুল গাবতলী উপজেলার জানপাড়া গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, প্রেমের সম্পর্ক থেকে পারিবারিকভাবে ২০০৩ সালে ফাহিমা ও সাইদুলের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। মেয়েটির বয়স পাঁচ বছর। ১৬ আগস্ট ফাহিমা হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ দিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। পর দিন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
২৭ বছর বয়সী ফাহিমার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে ১৮ আগস্ট আদালতে হত্যা মামলা করেন তার ভাই রিমন। এতে ফাহিমার স্বামী সাইদুল ইসলাম, তার শ্বশুর-শাশুড়িসহ সাতজনকে আসামি করা হয়।
ফাহিমার চাচা আব্দুল হাই বলেন, ‘ফাহিমাকে পরিকল্পিতভাবে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। ফাহিমার মৃত্যুর আগে স্বামীর সঙ্গে তার পারিবারিক কলহ চলছিল।’
কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় সহকারী কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজন এএসপি রাজিউর রহমান, গাবতলী মডেল থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম ও দক্ষিণপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ওসি জিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তদন্ত চলছে।