করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সুপ্রিম কোর্টের সেপ্টেম্বর মাসের অবকাশকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শনিবার ভিডিও কনফারেন্সে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা হয়। এ সময় তারা ২০২১ সালের বর্ষপঞ্জির সেপ্টেম্বর মাসের পূর্বনির্ধারিত অবকাশ ছুটি ভোগ না করে বিচারকাজ চালাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ২০২১ সালের বর্ষপঞ্জির সেপ্টেম্বর মাসের অবকাশ ছুটি বাতিল করা হলো। তবে অক্টোবরের অবকাশ বহাল থাকবে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। ওই সময় দেশের সব আদালতেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এরপর গত বছরের ৯ মে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনাসংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি। পরে ওই বছরের ১১ মে থেকে ভার্চুয়ালি আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
কিছুদিন পর আইনজীবীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ বছরের ১০ আগস্ট থেকে ভার্চুয়াল এবং শারীরিক উপস্থিতি দুভাবেই হাইকোর্টের পৃথক বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি। তারপর থেকে দুভাবেই উচ্চ আদালত পরিচালিত হয়ে আসছে।
তবে চলতি বছর মার্চে এসে ফের করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। এ সময় আদালত আবারও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে এক সপ্তাহ পরই ভার্চুয়ালি সীমিত পরিসরে আদালত খুলে দেয়া হয়।
কোরবানির ঈদের পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত শাটডাউন ২৩ জুলাই শুরু হলে আপিল বিভাগে বিচারকাজ বন্ধ রাখা হয়। তবে এ সময় হাইকোর্ট বিভাগে তিনটি বেঞ্চে সীমিত আকারে বিচারকাজ চলে।
পরে ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১১ আগস্ট থেকে পুরোদমে হাইকোর্টের সব বেঞ্চ ও আপিল বিভাগ ভার্চুয়ালি খুলে দেয়া হয়।