বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে খুন হয়েছেন বঙ্গবন্ধু: শেখ সেলিম

  •    
  • ২৮ আগস্ট, ২০২১ ২১:৩১

শেখ সেলিম বলেন, ‘এই মুশতাক, জাসদ এরা জিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতা হাত করতে চেয়েছিল। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের যে ক্ষতি করেছে, এমন ক্ষতি আর কেউ করেনি।’

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে খুন হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উন্মোচনে কমিশন গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

শনিবার বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির আয়োজনে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ সেলিম বলেন, ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজনের বিচার হলেও এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল, তা এখনও অজানা রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কলাকুশলী, পরিকল্পনাকারী ও মদদদাতাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে একটি কমিশন গঠন করা যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনি এখনও বিদেশে পালিয়ে আছে। একজন আমেরিকা আছেন। আমরা তাদের বলতে চাই আপনারা আমাদের লোক ফেরত দেন। হয়তো আরও কয়েকজন পাকিস্তান আছেন, যদিও পাকিস্তান সেটা স্বীকার করে না। তাদের দেশে ফেরত এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’

গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সেলিম বলেন, “এই মুশতাক, জাসদ এরা জিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতা হাত করতে চেয়েছিল। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের যে ক্ষতি করেছে, এমন ক্ষতি আর কেউ করেনি। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। বঙ্গবন্ধু হত্যার কথা শুনে জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ‘তাতে কী হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নেই, ভাইস প্রেসিডেন্ট আছেন।’ বুঝেন তাইলে অবস্থা।”

হতাশা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বারবার চেষ্টা করেও পাকিস্তান কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু এই বাঙালিই তাকে হত্যা করবে সেটি অবিশ্বাস্য ছিল। ওই সময় কোনো ছাত্রনেতা, আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকেও একটাবার সেখানে দেখা যায়নি।’

শেখ সেলিম বলেন, ‘ফিজিক্যালি ডেড হলেও বঙ্গবন্ধু এখনও সবার মনে রয়েছেন। তিনি মারা যাননি।’

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলার ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। এই চার হাজার বছরের ইতিহাস মূলত বাঙ্গালির বঞ্চনার ইতিহাস, পিছিয়ে পড়ার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির জন্য একজন বিস্ময়কর নেতা।

‘রাজনৈতিক জীবনে বাঙালি জাতির জন্য তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনের মোহ ত্যাগ করেছেন। বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু বাঙালি জাতির লক্ষ্য অর্জন থেকে পিছপা হননি।’

বেনজীর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে এক বৃদ্ধার কথা তুলে ধরে বলেছিলেন, এই বাঙালি জাতির সঙ্গে তিনি কখনও বিট্রে করবেন না। বঙ্গবন্ধু তার জীবন দিয়ে দিয়েছেন এই বাঙালি জাতির জন্য।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এই সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন আর বাঙালিকে দেখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তার জীবন দিয়ে যে আদর্শ আমাদের জন্য রেখে গেছেন, আমাদের লক্ষ্য হবে সেটিকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া।’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইতিহাস আশ্রিত গবেষণাধর্মী নাটক ‘অভিশপ্ত আগস্ট’ দেখানো হয়।

আলোচনা সভায় গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো শহিদ উল্লা খন্দকার ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বাবু মুকুল বোস।

এ বিভাগের আরো খবর