জামালপুরে রাস্তায় সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শহরের প্রধান সড়কে তমালতলায় শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরই শাহীন আলম নামের ওই যুবককে সেখান থেকে আটক করে পুলিশ।
আহত সাবিনা ইয়াসমিনের বান্ধবী সুমি নিউজবাংলাকে জানান, সাবিনা ও শাহীন দুজনেরই বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গুরুচরণ গ্রামে। সাবিনা জামালপুর শহরের মুন নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের নার্সিং বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী। শাহীন বেকার।
চার বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। এক বছর পরই বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কয়দিন ধরে শাহীন তাকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। শনিবার দুপুরে পরীক্ষা শেষ করে তারা দুই বান্ধবী তমালতলা এলাকার সিটি হাসপাতালে যান।
সুমি জানান, সেখান থেকে ফেরার সময় শাহীন তাদের রিকশায় এসে ওঠেন। তাকে নামিয়ে দিলে তিনি পেছন থেকে এসে ছুরি দিয়ে সাবিনাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আল ইমরান জানান, সাবিনার শরীরে চার থেকে পাঁচ জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান জানান, ঘটনার পরপরই শাহীনকে আটক করা হয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত ছুরিটি তিনি জামালপুরে এসে কিনেছেন। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হামলা পূর্বপরিকল্পিত। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।