জার্মানির ব্রেমেন বন্দরে কাগজপত্র হালনাগাদ সমস্যায় আটকে পড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) একটি তেল বহনকারী জাহাজ এমটি বাংলার অগ্রদূত ছাড়া পেয়েছে।
নিউজবাংলাকে শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর সুমন মাহমুদ।
তিনি জানান, এমটি বাংলার অগ্রদূত নামের জাহাজটির নির্মাণসংক্রান্ত কোনো ত্রুটি নেই। তবে করোনার কারণে কাগজপত্র হালনাগাদ না করায় কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। এ কারণে জার্মানির ব্রেমেন বন্দরে জাহাজটিকে আটকে রাখা হয়। পরে সমস্যার সমাধান হওয়ায় জাহাজটি ছাড়া পায়।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১১টার দিকে জাহাজটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ব্রেমেন বন্দর ছেড়েছে বলে জানান বিএসসির এই কর্মকর্তা।
এদিকে ইউরোপিয়ান মেরিটাইম সেফটি এজেন্সির ওয়েবসাইটে আটক জাহাজের তালিকায় শুক্রবার পর্যন্ত এমটি বাংলার অগ্রদূতের নাম ছিল। ছাড়া পাওয়ার পর শনিবার ওয়েবসাইট থেকে জাহাজটির নাম তুলে নেয়া হয়।
মেরিন ট্রাফিকের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, জাহাজটি এখন ১১ দশমিক ৮ নটিক্যাল মাইল গতিবেগে চলছে।
এর আগে ২৩ আগস্ট ব্রেমেন বন্দরে ভেড়ার পর কাগজপত্রসংক্রান্ত জটিলতা ধরা পড়ায় আটকা পড়ে তেল বহনকারী বিএসসির জাহাজটি। জার্মানির পোর্ট স্টেট কন্ট্রোল (পিএসসি) এসব ত্রুটি চিহ্নিত করে।
এ ঘটনার পর বাংলাদেশ নৌ-বাণিজ্য কার্যালয়ের এক আদেশের মাধ্যমে বিদেশগামী জাহাজগুলোকে নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়।
নৌ-বাণিজ্য কার্যালয়ের দেয়া আরেক আদেশে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটার জন্য অন্যান্য জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থাকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়।
বিএসসি সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে নির্মিত এমটি বাংলার অগ্রদূত জাহাজটি পরের বছরই বাংলাদেশে নিবন্ধিত হয়। এতে কর্মরত নাবিকরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। জাহাজটি ৩৯ হাজার টন তেল পরিবহনে সক্ষম। বর্তমানে জাহাজটি সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ভাড়ায় চললেও সামগ্রিকভাবে এর সার্বিক তত্ত্বাবধান করে বিএসসি।