বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) যানবাহনের লাইসেন্স দেয়ার পাশাপাশি এডিস মশার লাইসেন্সও দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শনিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় সুস্থতার জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে ‘১০টায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার’ স্লোগান বাস্তবায়ন এবং মশক নিধনে বিশেষ অভিযান সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘মিরপুরের বিআরটিএ অফিসটি এডিস মশার লার্ভা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে, অফিসটির ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি লার্ভা দৃশ্যমান রয়েছে বলেই এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।’
‘ব্যক্তিগত, সরকারি কিংবা বেসরকারি যে কোনো ভবনেই এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
পরিদর্শনকালে মেয়রের নির্দেশনায় বিআরটিএ অফিসের পিছনে সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাটগুলো স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘কারও একার পক্ষেই এডিস মশা দূর করা সম্ভব নয়, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশ বিস্তাররোধ এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
এডিস মশার ঘনত্ব বিবেচনায় ডিএনসিসির ১০, ১১, ১৪, ১৭, ২০ ও ৩৫ নম্বর এই ৬টি ওয়ার্ডে স্থানীয় কাউন্সিলর ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মশক নিধনে শনিবার থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘যে বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ঐ বাড়িসহ তার আশেপাশে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে কার্যকর ঔষধ স্প্রে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ফুটপাত কিংবা রাস্তা দখলের অধিকার কারও নেই, সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। তাই যারা ফুটপাত কিংবা রাস্তা দখল করে রেখেছেন তাদেরকে নিজ দায়িত্বে দখল ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’