আগামী বছর বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী যৌথভাবে উদযাপিত হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলেও আশা তার।
বঙ্গভবনে শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাত করেছেন ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত রিনা পি. সোয়েমারনোর। সাক্ষাতে সুবর্ণজয়ন্তী যৌথভাবে উদযাপনের কথা জানান রাষ্ট্রপতি।
স্বাধীনতার পরপর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া অন্যতম উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আগামী বছর বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছরপূর্তি যৌথভাবে উদযাপিত হবে এবং এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।’
বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর এবং ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ইন্দোনেশিয়া সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
সম্পর্ক উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা আগামীতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও আশা রাষ্ট্রপতির।
করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ থেকে ওষুধসামগ্রী পাঠানোয় ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান বিদায়ী রাষ্ট্রদূত। তিনি বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।