বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফ্লাইট শুরুর প্রস্তাব ভারতের

  •    
  • ২৮ আগস্ট, ২০২১ ২০:২২

চিঠিতে ভারতীয় এয়ারলাইনসগুলোকে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট স্লট বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে। এতে স্পাইস জেটকে সপ্তাহে ৩টি, ইন্ডিগো এয়ারকে ২টি এবং এয়ার ইন্ডিয়াকে ২টি করে ফ্লাইট বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে।

আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় ফ্লাইট শুরু করতে সম্মতি জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

শনিবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে এ সংক্রান্তে একটি চিঠি দিয়েছে ভারত।

চিঠিতে ভারতীয় এয়ারলাইনসগুলোকে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট স্লট বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে। এতে স্পাইস জেটকে সপ্তাহে ৩টি, ইন্ডিগো এয়ারকে ২টি এবং এয়ার ইন্ডিয়াকে ২টি করে ফ্লাইট বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে।

চিঠিতে করোনারোধী টিকা গ্রহণ করে ভ্রমণে বেবিচকের প্রস্তাব একমত পোষণ করেছে ভারত।

বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভারতের প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। আমাদের সপ্তাহে ২১টি ফ্লাইট প্রস্তাবের বিপরীতে তারা মাত্র সাতটিতে সম্মতি জানিয়েছে। আমরা তাদের প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা করব। তার পরে বলা যাবে ফ্লাইট কবে থেকে শুরু করা যাবে।

‘যাত্রীদের বিষয়েও তারা কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেগুলো নিয়েও আলোচনা করবো।’

এর আগে ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালু করতে গত ৪ আগস্ট বেবিচক সে দেশের কর্তৃপক্ষকে যে চিঠি দিয়েছে, তাতে ভ্রমণকারীদের করোনা টিকার দুটি ডোজ নেয়ার বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়।

প্রাথমিকভাবে চিকিৎসাপ্রত্যাশী, শিক্ষার্থী, তৃতীয় দেশে যেতে ভিসা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ভ্রমণকারী এবং এমপ্লয়মেন্ট ভিসাধারীদের জন্য ভ্রমণের সুযোগ রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল সে চিঠিতে।

এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে যারা ভ্রমণ করবেন তাদের জন্যও সুযোগ রাখা হয়েছে। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতার কথাও আমরা চিঠিতে বলেছি। শুধু পর্যটনের জন্য এখনই আমরা সুযোগ রাখছি না।

‘ভারতের পক্ষ থেকে যদি কোনো পরামর্শ বা নিয়মের পরিবর্তন প্রস্তাব থাকে সেটাও আমরা দেখব। আমাদের দিক থেকে ফ্লাইট শুরু করতে সব প্রস্তুতি রয়েছে। তারা সম্মতি দিলেই ফ্লাইট শুরু হবে।’

দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত ১৪ এপ্রিল বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। ১৬ দিন বন্ধ থাকার পর ১ মে ১২টি দেশ ছাড়া অন্যদের সঙ্গে আকাশপথ খুলে দেয়া হয়। এই ১২টি দেশের মধ্যে ছিল ভারত।

পরে বিভিন্ন সময় নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের তালিকায় সংযোজন-বিয়োজন হলেও ভারতের সঙ্গে আকাশপথ বন্ধই রয়েছে।

বেবিচক গত ৫ জুলাই থেকে ভারতসহ ৮টি দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে বেশ কয়েক মাস বন্ধ ছিল ভারতের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ। তারপর গত বছর ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়।

সম্প্রতি ভারতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল শুরুর বিষয়ে আগ্রহ দেখায় ভারত। এ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারকে একটি প্রস্তাবও দেয়া হয় দেশটির তরফ থেকে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন আগস্ট থেকে ফ্লাইট শুরু হতে পারে বলে গত ২৭ জুলাই গণমাধ্যমকে ধারণা দিয়েছিলেন।

তখন তিনি বলেন, ‘আমরা সীমিত আকারে ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব দিয়েছি। আগস্টের কোনো একটা সুবিধাজনক সময়ে এটা শুরু করার ব্যাপারে আশা রাখি।

‘আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশের কোভিডসংক্রান্ত পরিসংখ্যান বিচার-বিশ্লেষণ করে থাকি। যেহেতু ভারতের আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমেছে, সে অনুযায়ী আমরা মনে করছি, বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করতে পারি আমরা।’

দেশি তিনটি এয়ারলাইনস বাংলাদেশ বিমান, ইউএস বাংলা ও নভো এয়ার ছাড়াও ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট চালিয়ে থাকে। ভারতের এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া, ইনডিগো, স্পাইসজেট, ভিস্তারা ও গোএয়ার।

এ বিভাগের আরো খবর