জাপান থেকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড করোনা টিকার শেষ চালান দেশে এসে পৌঁছেছে।
ক্যাথে প্যাসিফিক বিমানে করে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ টিকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে পৌঁছে। সব মিলিয়ে পাঁচ চালানে জাপানের প্রতিশ্রুত অনুযায়ী ৩০ লাখ টিকা দেশে এলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। এই টিকা মাহাখালী কেন্দ্রীয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির ওয়্যার হাউজে রাখা হবে। এখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিরতণ করা হবে। জাপান থেকে আমার ৩০ লাখ টিকা পেয়েছি পাঁচ চালানে।’
দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে গণটিকা কর্যক্রম শুরু হয়। তবে টিকা সংকটের কারণে রোজার ঈদের পর থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম ডোজ নেয়ার পর অনিশ্চয়তায় পড়েন ১৪ লাখ মানুষ।
পরে বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিল জাপান। এই টিকা চারটি চালান হাতে পেয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়া যাবে এসএমএস ছাড়া। এই টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর দীর্ঘদিন যারা অপেক্ষা করছেন, তাদের নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিকে জাপানের টোকিও দূতাবাস তাদের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় টিকার চালানটি নিয়ে অল নিপ্পন এয়ারলাইনসের একটি কার্গো ফ্লাইট হংকংয়ের উদ্দেশে টোকিওর নারিতা বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। হংকং থেকে ফ্লাইট পরিবর্তন করে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে শনিবার ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে টিকা এসে পৌঁছানোর কথা। দূতাবাস জানায়, এ সময় টোকিওতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহবুদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।