মৌলভীবাজারে প্রথমবারের কৃত্রিম পদ্ধতিতে বাক্সের মধ্যে ফোটানো হলো ১৫টি খৈয়া গোখরার ডিম।
৪৫ দিন পর এই ডিমগুলো ফোটাতে সক্ষম হয়েছে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জের কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো সিলেট বিভাগে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ বক্সের মধ্যে কৃত্রিমভাবে ১৫টি গোখরার বাচ্চা ফোটাতে পেরেছে। গত ১৪ জুলাই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুর থেকে ১৫টি ডিমসহ একটি খৈয়া গোখরা সাপ উদ্ধার করে বনবিভাগ।
‘গোখরা সাপটিকে ছেড়ে দেয়া হয় তখনই। তবে, ডিমগুলো কৃত্রিম প্রজননের জন্য শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ ৪৫ দিন পর অবশেষে ডিমগুলো ফুটে খৈয়া গোখরার বাচ্চা বের হয়েছে।’
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের বিভাগীয় কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘এ অঞ্চলে এই প্রথম কৃত্রিমভাবে গোখরার বাচ্চা ফোটানো গেছে। এ কারণে আমরা অনেক খুশি। এটি অন্যতম একটি সাপ। বাচ্চাগুলো উপযোগী হলেই অবমুক্ত করা হবে।’
খৈয়া গোখরার বৈজ্ঞানিক নাম Naja naja। এটি ইংরেজিতে ইন্ডিয়ান কোবরা, এশিয়ান কোবরা বা বাইনোসেলেট কোবরা নামেরও পরিচিত।
রেজাউল নিউজবাংলাকে জানান, খৈয়া গোখরা দেশের পরিচিত সাপগুলোর মধ্যে অন্যতম বিষধর সাপ। এর গায়ের রং বাদামি কিংবা কালচে বাদামি হয়ে থাকে। শরীর মসৃণ আঁশে আবৃত থাকে।
রেজাউল আরও জানান, খৈয়া গোখরার ফণার ওপরে চশমার মতো ছোপ আছে। এজন্য একে স্পেকটাকলড কোবরাও বলে। এরা লম্বায় ১০০ থেকে ২২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই এদের দেখা যায়।
তিনি বলেন, খৈয়া গোখরা স্বল্প আলোর শুকনো জায়গা পছন্দ করে বলে সাধারণত মানুষের বসতবাড়ির আশপাশে, পুরোনো দালান ও গুহায় থাকে। এছাড়া চাষের জমি, বন ও পাহাড়ি অঞ্চলেও এগুলো পাওয়া যায়।