চাচা-চাচির সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল ছোট নাশরা ও তার ভাই। বেড়ানো শেষে বাড়ি ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হয় নাশরা ও তার চাচি।
এ সময় সাঁতরে তীরে ওঠে আসেন চাচা ও নাশরার ভাই।
নাশরার চাচা শাহেদ মিয়া ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নিউজবাংলাকে জানান, শুক্রবার সকালে চাচা ফারুক মিয়া ও চাচি কাজল বেগমের সঙ্গে বিজয়নগরের নোয়াগাঁও এলাকায় বেড়াতে যায় নাশরা ও তার ভাই। বিকেলে ট্রলারে করে বাড়ি ফেরার সময় নাশরা ও কাজল ভেতরে বসেন।
পথে বালুবোঝাই একটি ট্রলার ধাক্কা দিলে তাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ফারুক মিয়া ও নাশরার ভাই সাঁতরে তীরে ওঠেন। পরে শুক্রবার রাতেই কাজলের ও শনিবার সকালে নাশরার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
নাশরার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে বিজয়নগরের লইস্কা বিলে শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিন বছর বয়সী নাশরা শহরের উত্তর পৈরতলার হারিছ মিয়ার মেয়ে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবোঝাই ট্রলারডুবির এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে পুনরায় উদ্ধারকাজ শুরু করেন ডুবুরিরা। এর কিছুক্ষণ পর নাশরার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার রাত ২টা থেকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ‘রাতে শনাক্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে অনেকে।’