বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দাফনের ১৭ ঘণ্টা পর কিশোরীর মরদেহ কবরের উপর

  •    
  • ২৭ আগস্ট, ২০২১ ২৩:৫৬

ইউপি সদস্য অসীম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মুন্নি মারা যায়। দুপুরে নিদয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হয়। শুক্রবার সকালে খোঁড়া কবরের পাশে পাওয়া যায় মুন্নির মরদেহ৷ কাফনের কাপড়ও অনেকটা ছেঁড়া ছিল।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কৈখালী ইউনিয়নের নিদয়া গ্রামে দাফনের ১৭ ঘণ্টা পর কিশোরীর মরদেহ পাওয়া গেছে কবরের উপর। কাফনের কাপড়ও অনেকটা ছেঁড়া ছিল। পরে মরদেহ ফের দাফন করা হয়।

কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য অসীম কুমার জানান, নিদয়া গ্রামের খোরশেদ সরদার ও সফুরা দম্পত্তির ১৪ বছরের মেয়ে তানজিলা খাতুন মুন্নি। চার বছর আগে সফুরা খাতুনের দ্বিতীয় বিয়ে হয় একই গ্রামের আনজাম হোসেনের সঙ্গে। মুন্নি তার মায়ের সঙ্গে আনজামের বাড়িতে থাকত।

তিন বছর আগে মুন্নির স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে। ছয় মাস আগে অসুস্থতা বেড়ে গেলে মাকে নিয়ে তার বাবা খোরশেদ সরদারের কাছে চলে যায় সে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মুন্নি মারা যায়। দুপুরে নিদয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হয়। শুক্রবার সকালে খোঁড়া কবরের পাশে পাওয়া যায় মুন্নির মরদেহ ৷ কাফনের কাপড়ও অনেকটা ছেঁড়া ছিল। পরে স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে ফের একই জায়গায় তার দাফন করা হয়।মুন্নির মা সফুরা মরদেহ তোলার বিষয়ে প্রকাশ্যে আনজাম হোসেনকে দায়ী করেছেন বলে জানান এ ইউপি সদস্য। তবে কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি।স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে সফুরা তার আগের স্বামী খোরশেদের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আনজামকে সফুরা কথা দিয়েছিলেন, মুন্নি সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে নিয়ে তিনি ফিরে আবার সংসার করবেন।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শ্যামনগর থানার এসআই খবিরউদ্দীন জানান, খোরশেদ ও আনজাম হোসেনের মধ্যে স্ত্রী সফুরাকে নিয়ে বিবাদ চলছে। তবে সেই বিবাদের সঙ্গে মুন্নির মরদেহ তোলার কী সম্পর্ক তা পরিষ্কার নয়।

এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান এসআই খবির।

এ বিভাগের আরো খবর